ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে নানা মাদকদ্রব্য। এ মাদক ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে অনেকে মাদক কারবারের অভিযোগে জেলও খেটেছেন। তবে জেল থেকে ফিরে তাঁরা আবারও একই কাজে জড়াচ্ছেন।
গত ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখপাড়া এলাকা থেকে ৮৯ পিস ইয়াবাসহ বিএনসিসি অফিসের কম্পিউটার অপারেটর বকুল জোয়ার্দ্দারকে আটক করে র্যাব। এর আগে ২০১৭ সালের ২০ মে ২০০ পিস ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে আটক হয় ওই কর্মচারী। সে সময় তাকে সাময়িক বহিষ্কারও করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগেও তাঁকে কয়েক দফায় মাদকদ্রব্যসহ আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে গণপিটুনির স্বীকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসচালক মোস্তফা কামাল। গত বছরের ২৩ জুলাই ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে ৬৩ লিটার বাংলা মদসহ আটক হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী চিত্তরঞ্জন ঘোষ। পরে ওই কর্মচারীর নামে মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চালক প্রল্লাদ শেখের ইয়াবা সেবনের দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এসব ঘটনায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসব বিষয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয় বলে কিছু কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার নানা অপরাধ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন চাপের কারণে প্রশাসনও এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মাদক মুক্ত স্টাফ গড়ে তুলতে এদের কঠোর শাস্তির দাবি শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী সভাপতি আব্দুর রউফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করছে কিছু মাদকাসক্ত কর্মচারী। প্রশাসন মাদক কারবারিদের কাছে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এর থেকে বের হয়ে নিরপেক্ষ বিচার করতে হবে। উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে এদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব। যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব কর্মচারীদের সঙ্গে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক ছিন্ন করতে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করে যদি মাদক সরবরাহ করে তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। প্রশাসন মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।