প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানের ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করেছে সরকার। বই সংশোধন এবং পরিমার্জনের কাজও শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের এ কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতে যেন উজ্জ্বল হয়, সেটা নিশ্চিত করতে শিক্ষাব্যবস্থার দিকে আমাদের পূর্ণ নজর রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানের ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে। বই সংশোধন এবং পরিমার্জনের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। এ সংস্কারের কাজ অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চ প্রশাসনিক পদগুলো পূরণ করে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা বোর্ডে দখলদারির রাজনীতি বন্ধ করার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয় লক্ষ করেছেন, আমাদের প্রথম মাসে দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ–উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছেন। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এটা বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। প্রথম মাসে আমরা ক্রমাগতভাবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এমন উপাচার্য এবং উপ–উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। এর ফলে সব সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’
সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবাইকে বলে দিয়েছি, আপনারা মন খুলে আমাদের সমালোচনা করেন। আমরা সবার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মিডিয়া যাতে কোনো রকম বাধাবিপত্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে তাদের কাজ করতে পারে, সে জন্য একটি মিডিয়া কমিশন গঠন করা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। আরও যেসব কমিশন সরকারসহ অন্য সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারে, আমরা তাদের পুনর্গঠন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি—যাতে তারা আরও শক্তিশালী হয়, জনকল্যাণে কাজ করে।’