কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীসহ অনেকে আহত ও নিহত হয়েছেন। এখন শিক্ষার্থীরা ট্রমার মধ্যে রয়েছে। তাই ধরপাকড় ও সহিংসতা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) গুলশান-২ নগর ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় শিক্ষকেরা এই আহ্বান জানান।
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ডিএনসিসি এই সভার আয়োজন করে। এতে ডিএনসিসি এলাকার ১১৭টি কলেজ ও ৩৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অংশ নেন।
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকেরা কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন। পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে আন্দোলনে আহত বা নিহত হয়েছে এমন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো; আতঙ্কিত শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা; ট্রমার মধ্যে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের কাউন্সেলিং করা; শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য না দিয়ে নরমভাবে বোঝানোর ব্যবস্থা করা; অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস শুরুর ব্যবস্থা করা; শিক্ষার্থীদের আর্থিক, আইনি ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা।
স্টেট ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নওজিয়া ইয়াসমীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ট্রমার মধ্যে রয়েছে। তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দেখতে হবে। তাদের সহযোগিতা করতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। সহিংসতা ও ধরপাকড় দ্রুত বন্ধ করতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় ঢাকা উত্তর সিটিসহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্ররা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে। পুলিশ আহত ও নিহত হয়েছে। সবার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। যারা আহত হয়েছে, তাদের সুচিকিৎসা কামনা করছি।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকেরা চরম আর্থিক সংকটে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। সামগ্রিকভাবে আমাদের সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার পরিবেশ উত্তপ্ত হতে পারে, কেউ যেন সহিংসতা না করে, সেই আহ্বান জানাচ্ছি।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাঁরা ছিলেন না।