Ajker Patrika
হোম > শিক্ষা

দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি বইয়ের ৮ শিক্ষা

দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি বইয়ের ৮ শিক্ষা

প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের লেখা শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’। ১৯৫২ সালে প্রকাশিত বইটির জন্য লেখক নোবেল ও পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বইটি বিভিন্ন ভাষায় পড়েছেন। এটি একটি উপন্যাস হলেও এর মধ্যে রয়েছে জীবনদর্শন ও নানা শিক্ষা। বইটি পড়ে শিক্ষাগুলো লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

কখনো হাল ছাড়বেন না
‘মানুষ পরাজয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তাকে ধ্বংস করা যায়, কিন্তু পরাজিত করা যায় না।’ এটাই বইটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। সারা জীবন পূর্ণ উদ্যমে স্বপ্ন নিয়ে বাঁচুন, কখনো হাল ছাড়বেন না, কখনো আত্মসমর্পণ করবেন না। সান্তিয়াগোর কাছে একটি পুরোনো ভাঙা নৌকা এবং বৃদ্ধ সান্তিয়াগোর ভাঙা দেহ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তিনি বৃদ্ধ হলেও হাল ছাড়েননি। টানা ৮৪ দিন কোনো মাছ ধরতে পারেননি, তবু প্রতিদিন সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছেন। মনে একরাশ স্বপ্ন ছিল, তিনি একদিন সমুদ্রের সবচেয়ে বড় ও সুন্দর মাছটি ধরবেন। ৮৫তম দিনে তাঁর বড়শিতে ধরা পড়ল এক বিশাল আকৃতির মাছ।

সফলতা হলো দৃষ্টিভঙ্গি
সফলতার প্রকৃত অর্থ কী, তা হেমিংওয়ে আমাদের ভাবতে বাধ্য করেন। সফলতা কি সমাজের উঁচু পদ–পদবি, অনেক টাকার মালিক হওয়া নাকি অন্য কিছু? সান্তিয়াগো সামাজিক মর্যাদার সর্বনিম্ন প্রান্তে ছিলেন। তিনি গরিব ছিলেন, কিন্তু তাঁর ছিল জীবনদর্শন। তাঁর কাছে সফলতার অর্থ ছিল মূল্যবোধ অনুযায়ী জীবন যাপন করা। তিনি সততা ও কঠোর পরিশ্রমের মতো গুণাবলি অনুসরণ করে জীবন যাপন করতে পছন্দ করতেন। তিনি সাফল্যের জন্য কারও কাছে হাত পাতেননি, বরং তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি নিজের ব্যর্থতা ও ভুল স্বীকার করেছেন এবং সফলও হয়েছেন। 

যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ হোন
আমরা শুধু ব্যর্থতার হিসাব করি। আমার এটা নেই, সেটা নেই প্রভৃতি কথা বলি। কিন্তু যা আমাদের আছে, তা নিয়ে খুব একটা কৃতজ্ঞ হই না। আমাদের উচিত যা আছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা এবং সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করা। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমাদের তেমন কিছু ছিল না। দৃঢ় মনোবল নিয়ে যা ছিল, তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ায় বিজয় অর্জিত হয়েছে। ঠিক তেমনি উপন্যাসে সান্তিয়াগোর পৃথিবী খুবই কঠিন ছিল। তাঁর একমাত্র জীবিকার উৎস ছিল সমুদ্রে মাছ ধরা। তিনি অত্যন্ত গরিব ছিলেন, ঠিকমতো খাবার খেতে পারতেন না। তাঁর বন্ধু ম্যানোলিন মাঝেমধ্যে তাঁর জন্য খাবার নিয়ে আসতেন।

অন্যের কথায় কান না দেওয়া
আপনি নিজেই নিজের বস হোন। আপনাকে নিয়ে অন্য কে কী ভাবল, এসব ভেবে সময় নষ্ট করবেন না। ছোট জেলেরা তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসত এবং বড়রা তাঁর জন্য করুণ চোখে দুঃখ প্রকাশ করত, কিন্তু সান্তিয়াগো এতে কান দেননি। পাত্তা না দিয়ে আপন মনে নিজের কাজটি করে গেছেন। কেননা তিনি জানতেন, যা করছেন তা ঠিকই করছেন। তাঁর মনে ছিল স্বপ্ন। একদিন তিনি স্বপ্নকে স্পর্শ করেন। 

শুধু ভাগ্যের আশায় বসে না থাকা
ভাগ্যে বিশ্বাস করা উচিত। তবে কাজ না করে শুধু ভাগ্যের ওপর নির্ভর করা ঠিক নয়। কঠোর পরিশ্রম করুন, অধ্যবসায়ী হোন। দেখবেন, ভাগ্য একদিন আপনার পদধূলি নেবে। সান্তিয়াগো ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে বসে ছিলেন না। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এরপর যখন সুযোগ আসে, তখন তার জন্য প্রস্তুত থেকে নিজের ভাগ্য নিজে তৈরি করেছেন। ৮৪ দিন মাছ ছাড়া থাকার পরও তিনি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন এবং চেষ্টা চালিয়ে যান। সান্তিয়াগো সফলতার জন্য শর্টকাট পথ বেছে নেননি, বরং তিনি কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। তবে এটা ঠিক, শুধু কঠোর পরিশ্রম করলেই হবে না; স্মার্টলি কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। 

অভিযোগ না করা
সকালের ঠান্ডায় বুড়ো সান্তিয়াগো কাঁপছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন, তিনি নিজেকে উষ্ণ করে তুলবেন। সে জন্য তিনি শিগগির নৌকা চালাতে শুরু করবেন। তার আগপর্যন্ত সান্তিয়াগো ঠান্ডায় কষ্ট সহ্য করেছেন। কিন্তু তিনি প্রচেষ্টা থামাননি। এমনকি যখন তিনি ঠান্ডা, ক্ষুধা, তৃষ্ণায় মৃত্যুর মুখোমুখি হন, তখনো তিনি কেবল যা করা দরকার তা–ই করেছিলেন। তিনি কখনো অভিযোগ করেননি। নিজের প্রতি করুণা দেখাননি, তিনি কেবল ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। একবার মাছ ধরার লাইন থেকে তাঁর হাত কেটে যায়। কিন্তু তা তাকে দমাতে পারেনি।
তিনি বসে বসে কান্না না করে নিজের কাজ করে গেছেন।

স্বপ্ন দেখি, ছাত্রছাত্রীরা দেশেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে: নবনিযুক্ত শিক্ষা উপদেষ্টা

বিনা মূল্যে স্যাট প্রস্তুতি

ইতালির ক্যালাব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

সাত কলেজ পরিচালিত হবে যেভাবে, জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

কানাডায় সম্পূর্ণ অর্থায়িত আসিয়ান বৃত্তি

২৭ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ

ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫১৮

আইইউটির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

আজ থেকে টানা ৪০ দিন ছুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, ডিগ্রির সীমানা পেরিয়ে সম্ভাবনার পথে