খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ১৫ পদে ৩৩ জন প্রার্থী লড়ছেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন-অধ্যাপক ড. শেখ সিরাজুল হাকিম, সহযোগী অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ মো. রেজাউল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. জামিল আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ড. রামেশ্বর দেবনাথ, অধ্যাপক ড. লস্কার এরশাদ আলী, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. তানজিল সওগাত, অধ্যাপক ড. মো. সারওয়ার জাহান, অধ্যাপক ড. মো. মতিউল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক রহিমা নুশরাত রিম্মি, অধ্যাপক ড. সেখ মো. এনায়েতুল বাবর, অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ড. চঞ্চল মণ্ডল, সহযোগী অধ্যাপক মোল্লা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত।
আরও রয়েছেন-সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাধু, অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার কর্মকার, অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল আহম্মেদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. শ্রাবন্তী দেব, অধ্যাপক মো. সানাউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. তরুণ কান্তি বোস, সহকারী অধ্যাপক মো. নাদিমুদৌলা, সহকারী অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবু রাশেদ মো. মোস্তাফিজার রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মো. নুরুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. ইউ এইচ রুহিনা জেসমিন, অধ্যাপক ড. মো. দুলাল হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. নাসিফ আহসান, সহকারী অধ্যাপক সাজিয়া আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ সোহেল এবং অধ্যাপক ড. মো. ওয়ালিউল হাসানাত।
জানা যায়, আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের মাল্টিপারপাস রুমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের পরপরই গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। দীর্ঘ ১৭ বছর পরে অনুষ্ঠিতব্য এবারের নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস।
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সর্বশেষ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালের ২০ মার্চ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২১ (১) ধারার ঠ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে পনেরোজন প্রতিনিধি’ নির্বাচিত হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিগত ১৭ বছরে কোনো নির্বাচন হয়নি। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর সিনেট সভা নিয়মিতকরণের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেন। তারই আলোকে আগামীকাল শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন শেষ হওয়ার পর রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।