জিম্যাটের ধারাবাহিক প্রস্তুতির আজকের আলোচনা ভার্বাল রিজনিং নিয়ে। জিম্যাটের ভার্বাল রিজনিং সেকশনে ৪৫ মিনিটে ২৩টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নে একটি করে অনুচ্ছেদ এবং ৫টি সম্ভাব্য উত্তর থাকবে। যেখান থেকে সঠিক উত্তরটি বাছাই করতে হবে। এই ভার্বাল রিজনিং সেকশনে পরীক্ষার্থীর ভাষাগত দক্ষতা ও পঠনের যোগ্যতা দেখা হয়। এখানে দুই ধরনের প্রশ্ন থাকে। একটি রিডিং কম্প্রেহেনশন ও অন্যটি ক্রিটিক্যাল রিজনিং।
রিডিং কম্প্রেহেনশন
এখানে আসা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশ্নগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনাকে যাচাই করা হবে। আপনি কোনো একটি অনুচ্ছেদ পড়ে সেখান থেকে কী বুঝতে পেরেছেন, তা দেখা হবে। যেমন অনুচ্ছেদের বিষয়াবলি কী, কোনো গূঢ় অর্থ আছে কি না, অনুচ্ছেদটির যৌক্তিক সমাপ্তি টানা ইত্যাদি।
এই ধাপের প্রতিটি প্রশ্নে ১০০ শব্দের একটি করে অনুচ্ছেদ দেওয়া হয়। অনুচ্ছেদের বিষয়াবলি বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, মানবিক, অর্থনীতি, ব্যবসা ইত্যাদি সম্পর্কিত হতে পারে। প্রতিটি প্রশ্নের সঙ্গে ৫টি সম্ভাব্য উত্তর দেওয়া থাকবে। যেখান থেকে আপনাকে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বের করতে হবে।
ক্রিটিক্যাল রিজনিং
এই প্রশ্নগুলোতে আপনার যুক্তিবিদ্যা ও চিন্তন দক্ষতা যাচাই করা হয়। এই অনুচ্ছেদগুলো এমনভাবে লেখা, যেখান থেকে আপনি ভুলগুলো বের করে সেটা নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার চিন্তা করার ধরন যাচাই করা হবে। এ ছাড়া আপনাকে বলা হতে পারে, কোনো একটি অনুচ্ছেদে যে উপসংহার টানা হয়েছে, সেটার সঙ্গে আপনি একমত কি না।
এখানে অনেক সময় গ্রামার-সংক্রান্ত প্রশ্নও থাকতে পারে। যেমন কোনো বাক্যে ভুল খুঁজে বের করার সময় সেই বাক্যের গঠন ঠিক আছে কি না, ব্যাকরণগত ভুল আছে কি না, অর্থ ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে কি না—এগুলো ভালোমতো খেয়াল করতে হবে।
এ সেকশনে ভালো করতে চাইলে
এ সেকশনে মূলত ৪টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। সেগুলো হলো বিশ্লেষণ, নির্মাণ, সমালোচনা ও পরিকল্পনা। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। কোনো প্যাসেজ পড়ার সময় এটা কখনোই মনে করবেন না, প্যাসেজে থাকা প্রতিটি শব্দ বা বিষয়ের অর্থ আপনার জানা থাকবে। প্যাসেজ পড়ে আপনি কী বুঝতে পেরেছেন, সেটা কেউ জানতে চাইবে না। বরং কোন প্রশ্নের উত্তরে প্যাসেজের কোন অংশটা বসবে, সেটা বুঝলেই চলবে।
তাই প্যাসেজের কি-ওয়ার্ড বা চুম্বক অংশগুলো ভালোভাবে খেয়াল করুন। প্যাসেজে দেওয়া তথ্যগুলোর সঙ্গে কোন প্রশ্নের উত্তর মিলছে, তা খুঁজে দেখুন। প্যাসেজ পড়ার সময় কোনো তাড়াহুড়ো করবেন না। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার অগোচরে থেকে যেতে পারে। আবার আন্দাজেও উত্তর করতে যাবেন না।
এমনকি আপনি যখন অনুশীলন করবেন, তখনো অনুচ্ছেদগুলো দ্রুত পড়তে যাবেন না। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে প্রশ্নগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি অনুচ্ছেদ পড়ার আগেই প্রশ্নগুলো পড়ে নেন। তাহলে কিন্তু খুব দ্রুত উত্তরগুলো আপনার চোখে পড়বে। মক টেস্ট দেওয়ার সময় যে উত্তরগুলো ভুল করেছেন, সেগুলো বারবার রিভিশন দিতে ভুলবেন না।
সূত্র: জিম্যাট ক্লাব, এমবিএ ডটকম, ই-জিম্যাট