তানিয়া অক্তার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা সায়েন্স বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। এবার এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সায়েন্স, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বৈশ্বিক বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার নতুন সুযোগ তৈরি করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্সে শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। একই সঙ্গে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগও চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন এ কোর্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমান বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সীমান্ত হোসেন বলেন, এখন প্রায় প্রতিটা কাজেই আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্নাতক করা অনেক গর্বের বিষয়। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাবেন।
প্রথমবারের মতো এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্সে স্নাতক কোর্স চালু করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। একই সঙ্গে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগও চালু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। গত ৭ অক্টোবর (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জাবের আল মাসুম। তিনি জানান, এই সাবজেক্ট সম্পর্কে আমার নির্দিষ্ট কোন ধারণা নেই। কিন্তু যতটুকু অনুধাবন করতে পারি, এআই ধীরে ধীরে প্রতিটি সেক্টর দখল করে নিচ্ছে। প্রতিটি প্রোডাক্ট বর্তমানে আপডেট করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য।
সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী নির্জনা নিঝুম বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ডেটা সায়েন্স কোর্স চালু হলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতে নতুন একটি দ্বার উন্মোচিত হবে। বর্তমান প্রযুক্তি এবং ডেটা-বিশ্লেষণ নির্ভর বিশ্বে এআই এবং ডেটা সায়েন্সের মতো ক্ষেত্রগুলোতে জ্ঞান থাকা শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে অনেক অগ্রাধিকার দেবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, চাকরিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দূরত্ব কমিয়ে আনা এবং একই সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে প্রযুক্তির বাজারকে সমৃদ্ধ করতে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের পাশাপাশি নতুন করে এই বিভাগ উন্মোচন করা।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, এআইয়ের মাধ্যমে মানুষের জ্ঞানকে মেশিনের মধ্যে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে। ফলে প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে, মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে। আমরা সবাই পাঠাও-উবার ব্যবহার করি, কিন্তু জানি না এই অ্যাপগুলো কীভাবে কাজ করে। এআই গ্র্যাজুয়েটরা এসব বিষয় নিয়েই কাজ করবে। তারা কম্পিউটার বিজ্ঞানের গভীর থেকে গভীরতর স্তরে প্রবেশ করবে।