হোম > শিক্ষা > ক্যাম্পাস

কৃষকদের পাশে অ্যাগ্রি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স বিডি

হাবিবুর রনি

বন্যা সব সময়ই মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। কৃষকেরা এ সময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেশির ভাগ মানুষ আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বন্যার কারণে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা সময়মতো তা রোপণ করতে পারেননি। ফলে দেশে খাদ্য-সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

কীভাবে এ সংকট মোকাবিলা করে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো যায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ভাবনা জানিয়েছিলেন নেত্রকোনা শাখার মৃত্তিকাবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বাকৃবির পিএইচডি শিক্ষার্থী মোখলেছুর রহমানকে। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে গত ২৪ আগস্ট জন্ম নেয় নতুন একটি উদ্যোগ ‘অ্যাগ্রি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স বিডি’। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগে যুক্ত হন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষার্থী, বিভিন্ন এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা, বীজ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান এবং করপোরেট ব্যক্তিরা। তাঁদের মূল লক্ষ্য ছিল বন্যাকবলিত কৃষকদের বিনা মূল্যে ‘নাবি আমন’ ধানের চারা সরবরাহ করা। 

এই উদ্যোগকে সফল করতে ‘কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি’ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য ২ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এবং বায়ার ক্রপ সায়েন্স কোম্পানির সহায়তায় ‘বিনা-১৭’ ও বায়ার বাংলাদেশের ‘ধানি গোল্ড’ জাতের ধানের 
বীজ সংগ্রহ করা হয়। 

১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির আওতায় বাকৃবিতে ৫ একর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ একর, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ৪ একর এবং কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরে ২ একরসহ মোট ১২ একর জমিতে চারা উৎপাদনের কাজ শুরু করা হয়। ১৮ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এসব ধানের চারা বন্যাদুর্গত কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে, যা প্রায় ১ হাজার কৃষককে ৭৬০ বিঘা জমিতে ধান চাষে সহায়তা করবে। 

শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগকে সার্বিকভাবে সহায়তা করছেন শিক্ষক ও গবেষকেরা। বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘আমরা চারা রোপণের পর সার, কীটনাশক এবং সবজি বীজ দেওয়ার বিষয়েও চিন্তা করেছি। শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহায়তায় আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।’ 

অ্যাগ্রি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স বিডির অন্যতম উদ্যোক্তা বাকৃবির শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল মুন্না বলেন, ‘বন্যার পর চারা তৈরি করতে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগবে। এতে আমন ধান চাষের সময় পার হয়ে যাবে। তাই খাদ্য সংকটের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।’ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ধানের ক্ষেত্রে বড় একটি সমস্যা হলো চিটা হয়ে যাওয়া। তবে বোরন যুক্ত সার প্রয়োগ করলে চিটা হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যাবে এবং ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ উৎপাদন থাকবে বলে আশা করা যায়।’ 

শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ শুধু তাৎক্ষণিক সমাধান নয়; বরং এটি দেশের ভবিষ্যৎ কৃষি উন্নয়নে স্থায়ী অবদান রাখার প্রয়াস। বন্যার্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের জীবন ও জীবিকার জন্য শক্তিশালী প্রচেষ্টাবলয় গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘সিএসই ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত

আইইউবিএটির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পার্লিসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

স্টেট ইউনিভার্সিটি আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘মিডিয়া ট্যালেন্ট হান্ট’ প্রতিযোগিতা

দেশে বসেই ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের স্নাতক প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

সাত কলেজের ‘স্বতন্ত্র পরিচয়’ প্রতিষ্ঠায় বিশেষজ্ঞ কমিটির তৎপরতা শুরু

তিন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পর ডাকসু নির্বাচন: উপাচার্য

আইইউবিএটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ২১৯ শিক্ষার্থী পেলেন মেধাবৃত্তি

মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, পরশু ইউজিসি অভিমুখে লং মার্চ

সেকশন