নাজমুল ইসলাম
অপরাজেয় বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত ‘অপরাজেয় বাংলা’ নামের ভাস্কর্যটি। ১৯৭৩ সালে শুরু হয়ে এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ছয় বছর পর ১৯৭৯ সালে। এ ভাস্কর্যের স্থাপত্যশিল্পী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। ৬ ফুট বেদির ওপর নির্মিত ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১২ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ভাস্কর্য তৈরি করেন শিল্পী নিতুন কুন্ডু। ভাস্কর্যটির নিচে লেখা আছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘শাবাশ, বাংলাদেশ’ কবিতাটির দুটি চরণ। এর পাদদেশে রয়েছে একটি মুক্তমঞ্চ। পুরো ভাস্কর্যটি একটি বেদির ওপর স্থাপিত। ভাস্কর্যের মূল দুটি অবয়বের পেছনে রয়েছে ৩৬ ফুট লম্বা একটি দেয়াল। তার ওপর একটি বৃত্ত, যা স্বাধীনতার সূর্যের প্রতীক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হয় ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য। এর নকশাকার বিশ্ববিদ্যালয়টির চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব জাহান। তাঁর সহযোগীরা হলেন মুজাহিদুর রহমান মূসা ও জয়াশীষ আচার্য। ভাস্কর্যটির উচ্চতা ২০ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ১৮ ফুট। লাইভ কাস্টিং পদ্ধতিতে তৈরি এ ভাস্কর্যের ধূসর রঙের আস্তরণে মার্বেল ডাস্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এ ভাস্কর্য। এটি তৈরি করেন শিল্পী হামিদুজ্জামান খান। ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১৫ ফুট। মূল ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জের তৈরি। এ ছাড়া এটি নির্মাণে লাল সিরামিক ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে দৃশ্যমান করা এবং মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীরদের স্মরণে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৩ সালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়। এটির নকশাকার ভাস্কর শ্যামল চৌধুরী। ভাস্কর্যটি ৭১ ফুট দীর্ঘ ও ৭১ ফুট প্রশস্ত। এর মূল স্মৃতিস্তম্ভ ছয়টি বৃত্তাকার সিঁড়ি নিয়ে নির্মিত ৭ ফুট বেদির ওপর স্থাপিত। মূল ভাস্কর্যের পেছনে অর্ধবৃত্তাকার দেয়ালে স্থাপিত হয়েছে ম্যুরাল। সেখানে আবহমান বাংলাসহ দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা জায়গা পেয়েছে।