দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীই নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসেন। এই শিক্ষার্থীদের অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সময় আর্থিক সংকটে ভোগেন। আর্থিক সংকট মেটানোর জন্য তাঁদের টিউশন, কোচিং সেন্টারে পড়ানোসহ বিভিন্ন কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে হয়। ব্যস্ত নগরীর জ্যাম ঠেলে দু-তিনটি ক্লাস করে ক্লান্তশ্রান্ত শরীর নিয়ে আবার টিউশন কিংবা পার্টটাইম চাকরি সেরে রুমে ফিরে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা বেশ কষ্টসাধ্য কাজ।
অর্থ উপার্জনের তাড়নায় প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার বাইরে গবেষণা অথবা ভিন্ন চিন্তাভাবনার সুযোগ সংকুচিত হয়ে যায়। পরিবারের বৃদ্ধ বাবা, ছোট ভাইবোনের পড়াশোনার খরচসহ নিজের খরচ মেটাতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জগৎ থেকে ছিটকে পড়েন।
একটা সময় ভালো ফল করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নেন। সাম্প্রতিক সময়ে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা নিতান্তই দুর্ভাগ্যের। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বৃহৎ পরিসরে খণ্ডকালীন বৃত্তি বা অন্যান্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা থাকলে হয়তো তাঁদের পথচলা আরও মসৃণ হতো। অন্য সহপাঠীদের মতো সমানভাবে দুশ্চিন্তামুক্ত জ্ঞানার্জনের সুযোগ পেতেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি বিষয়টি ভেবে দেখবে?
হাবিবুর রহমান আল-হাসান, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়