বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ঔষধি গাছের ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ঔষধি গাছ থেকে প্রাথমিক সেবা গ্রহণ করে থাকে। গাছের ঔষধি গুণের কথা চিন্তা করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঔষধি বাগান তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়। ঔষধি গাছ রোপণ শুরু করে ২০১৫ সাল থেকে। বাগানের দেখাশোনা করে ফার্মাসি বিভাগের সহযোগী সংগঠন ফার্মাসি সোসাইটি। বর্তমানে ৫০ প্রজাতির বেশি ঔষধি গাছ আছে এ বাগানে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাসনাহেনা, হরীতকী, চুইঝাল, কাঠবাদাম, পেনসিল ক্যাকটাস, আমলকী, তেজপাতা, ডালিম, দারুচিনি, তেঁতুল, সাদা জবা, নিম, অর্জুন প্রভৃতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ দেবনাথ জানান, ‘প্রতিটি গাছেই কোনো না কোনো ঔষধি গুণাগুণ থাকে। চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় আমরা বলি সব খাবারই এক-একটি ঔষুধ। খাবার বেশি খেলে যেমন ক্ষতি হয়, আর কম খেলে অপুষ্টি দেখা দেয়। ওষুধের বেলায়ও বিষয়টি একই। এই বাগানের মূল উদ্দেশ্যই হলো জনসচেতনতা তৈরি করা। এ ছাড়া ফার্মাসি কাউন্সিলের গাইডলাইনেও বলা আছে, যেখানে ফার্মাসি বিভাগ থাকবে সেখানে ঔষধি বাগানও থাকতে হবে। তাই আমরা সবকিছু বিবেচনায় এই ঔষধি বাগানটি করেছি।’
ঔষধি বাগান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ভেষজ বাগান হিসেবে দেখতে চাই। এখন ঔষধি বাগানের জায়গা সীমিত হওয়ায় আমরা স্বল্পসংখ্যক গাছ লাগিয়েছি। তবে এর বাইরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গাছ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এই বাগান সম্প্রসারণের জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে তাহলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।’