হোম > শিক্ষা > ক্যাম্পাস

বন্ধু-সহপাঠীদের চোখে বেরোবির আবু সাঈদ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তাঁকে চেনেন না, এমন মানুষ সম্ভবত এই সময় দেশে নেই।বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে পুলিশের গুলিতে ১৬ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষার্থী ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবির সমন্বয়কের দায়িত্বে। বুলেটবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর বিভীষিকাময় স্মৃতি আবু সাঈদের বন্ধু-সহপাঠীদের যন্ত্রণায় মুহ্যমান করে রেখেছে। তাঁদের তিনজনের কথা শুনেছেন মো. সৈয়দুর রহমান

আমাদের সাঈদ ইতিহাসের শহীদ
সাঈদ আমার অনেক দিনের বন্ধু। সে ছিল হাস্যোজ্জ্বল মানুষ। আমাদের একটি ব্যান্ড ছিল ‘টঙের গান’ নামে। সাঈদের সঙ্গে দেখা হলেই ব্যান্ড-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হতো। আন্দোলনের শুরু থেকে আমরা একসঙ্গে ছিলাম, মিছিলে যেতাম। একদিন মিছিলে যাওয়ার সময় সে মারধরের শিকার হয়েছিল। এরপর সে সবার নজরে আসে। আন্দোলনের সব খবর সে আমাদের দিত। তবে নির্মম বুলেটের আঘাতে তার এভাবে জীবনাবসান হবে, সেটা ভাবনাতেও ছিল না। অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করা সাঈদ চিরদিন বেঁচে থাকবে মানুষের হৃদয়ে। শহীদ হিসেবে তার নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।

মাহমুদুল হাসান আবির, লোকপ্রশাসন বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

সে কোনো দলীয় রাজনীতি করত না
সাঈদ চশমা ও ক্যাপ পরত। কিন্তু সেদিন এর কোনোটিই পরেনি সে। একদম নিশ্চুপ হয়ে আমার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল। সবাই পুলিশের সঙ্গে তর্ক করছিল। একপর্যায়ে পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এবং যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আমি মেসে চলে যাই। গিয়েই শুনি, আমাদের একজন গুলিতে মারা গেছে। একটু পরে জানতে পারি, সেই একজন আমার শৈশবের বন্ধু সাঈদ। এরপর হাসপাতালে গিয়ে দেখি, স্ট্রেচারে সাঈদের নিথর দেহ পড়ে আছে।

সাঈদের শূন্যতা কোনো কিছু দিয়েই পূরণ সম্ভব নয়। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। আমাদের বন্ধুদের এখন একটাই চাওয়া রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুকে যেন ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া না হয়। 

মাহিদ হাসান শাকিল, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

আবু সাঈদের মতো বন্ধু হয় না
আমি আবু সাঈদের সঙ্গে ২০২০ সাল থেকে একই মেসে থাকতাম। সাঈদ ছিল অমায়িক। আমাদের দুজনের মধ্যে মানসিক ও আদর্শিক দিক দিয়ে অনেক মিল ছিল। যেকোনো প্রয়োজনে ডাকলে সে ছুটে আসত। আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমি যখন রাজপথে ছিলাম, তখন একটা ফোন কল পাই এক বন্ধুর কাছ থেকে। আমাকে বলা হয়, আবু সাঈদের গুলি লেগেছে। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। তখন মেসের এক বড় ভাই আমাকে নিশ্চিত করে যে আবু সাঈদ আর নেই।

আমার চোখে এখনো ভাসছে তার সঙ্গে কাটানো হাজারো স্মৃতি। অবসর সময়ে আড্ডা, ফোনে লুডু খেলা, রাতে চা খেতে যাওয়াসহ সব আমরা একসঙ্গে করতাম। সাঈদ কখনো একা কিছু খেত না। ফলমূল খেলে আমাদের ডাক দিত। একসঙ্গে তাকে নিয়ে আর কিছু করা হবে না। আবু সাঈদের মতো বন্ধু হয় না। 

মো. ইব্রাহীম খলিল, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘সিএসই ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত

আইইউবিএটির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পার্লিসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

স্টেট ইউনিভার্সিটি আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘মিডিয়া ট্যালেন্ট হান্ট’ প্রতিযোগিতা

দেশে বসেই ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের স্নাতক প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

সাত কলেজের ‘স্বতন্ত্র পরিচয়’ প্রতিষ্ঠায় বিশেষজ্ঞ কমিটির তৎপরতা শুরু

তিন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পর ডাকসু নির্বাচন: উপাচার্য

আইইউবিএটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ২১৯ শিক্ষার্থী পেলেন মেধাবৃত্তি

মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, পরশু ইউজিসি অভিমুখে লং মার্চ

সেকশন