হোম > শিক্ষা > ক্যাম্পাস

ফলের স্বর্গরাজ্য বাকৃবির জার্মপ্লাজম সেন্টার

সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী 

এশিয়া মহাদেশসহ পুরো বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ফলদ বৃক্ষের সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টার। এটিকে বলা হচ্ছে ফলদ বৃক্ষের স্বর্গরাজ্য। এখানে আছে নানান প্রজাতির, বিচিত্র রঙের এবং ভিন্ন স্বাদের হাজার হাজার ফলের বিপুল সমাহার। 

বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতায় সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের অর্থায়নে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ফল জাদুঘর। ১ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত  জাদুঘরটি তৎকালীন ‘ফ্রুট ট্রি স্টাডিজ’ নামে খ্যাত ছিল। পরে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ফলগাছ উন্নয়ন প্রকল্প’। এটিই এখন ৩২ একরে বিস্তৃত হয়ে ‘জার্মপ্লাজম সেন্টার’ হিসেবে পরিচিত। এ সেন্টারে রয়েছে অসংখ্য বিলুপ্তপ্রায় ও বিরল প্রজাতির দেশীয় ফল এবং ঔষধি গাছ। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এই সেন্টার ফলের জিন সংরক্ষণ, শিক্ষা, গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। 

বর্তমানে জার্মপ্লাজম সেন্টারে আছে প্রায় ২০০ প্রজাতির আনুমানিক ১০ হাজার জাতের মাতৃগাছ। এগুলোর মধ্যে আছে ১ হাজার ১৯৫টি দেশি-বিদেশি বিরল প্রজাতির গাছ। এই গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে ২২০ ধরনের আম, ৫৭ প্রকারের পেয়ারা, ২৩টি ভিন্ন জাতের লিচু, ৪৭ রকমের লেবু এবং বিচিত্র স্বাদের ৯৪ ধরনের কাঁঠাল। এ ছাড়া রয়েছে ৬৭ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় অপ্রধান ফল, ৬৮ প্রজাতির ফলদ ঔষধি গাছ, ২৭ প্রজাতির ভেষজ গাছ এবং ৫৮ প্রজাতির বিদেশি ফলের গাছ। 

এ সেন্টারে পিএইচডি ও এমএস পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে পারেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এখানে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

বাকৃবির এই জার্মপ্লাজম সেন্টারপেয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার। এ ছাড়া জার্মপ্লাজম সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এম এ রহিম পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নরমেন আরনক বোরলক পুরস্কার। 

জার্মপ্লাজম সেন্টারের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোক্তার হেসেন বলেন, ‘এই জার্মপ্লাজম সেন্টারের অভীষ্ট লক্ষ্যই ফলের জিন সংরক্ষণ, শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের কেন্দ্র, ফলের হিডেন নিউট্রেশন সংরক্ষণ এবং কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।’ 

এ সেন্টার শুধু গবেষণা কেন্দ্র নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক আশ্রয়স্থলও বটে। এখানে প্রতিনিয়তই দেশি-বিদেশি গবেষক ও দর্শনার্থীরা আসেন ফলের বিপুল বৈচিত্র্য উপভোগ করতে এবং ফলের চারা সংগ্রহ করতে। এ সেন্টারের কার্যক্রম বাংলাদেশের ফলের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

পবিপ্রবির গবেষণার ফল বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেব

বিশ্বমঞ্চে বিইউপির তিন শিক্ষার্থীর সাফল্য

উষ্ণতার ছোঁয়ায় মানবিকতার জয়গান

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘সিএসই ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত

আইইউবিএটির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পার্লিসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

স্টেট ইউনিভার্সিটি আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘মিডিয়া ট্যালেন্ট হান্ট’ প্রতিযোগিতা

দেশে বসেই ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের স্নাতক প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

সাত কলেজের ‘স্বতন্ত্র পরিচয়’ প্রতিষ্ঠায় বিশেষজ্ঞ কমিটির তৎপরতা শুরু

তিন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পর ডাকসু নির্বাচন: উপাচার্য

সেকশন