ক্যাম্পাস ছেড়েছেন ২২ বছর আগে। নিয়েছেন উচ্চশিক্ষা। জড়িয়েছেন কর্মজীবনে। তাঁরা প্রত্যেকেই এখন নামকরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। কেউবা হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, কেউ শিশু, কেউবা প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ। কেউ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, কেউবা চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। এমবিবিএস শেষ করার পর আর ফেরা হয়নি ক্যাম্পাসে। যে সময়ে তাঁরা ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন তখনো সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন ছিল না। কিন্তু এখন যোগাযোগের সুযোগ বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে সবার যোগাযোগ হয়। হঠাৎ একদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আনিছুর রশিদ (মুরাদ) প্রস্তাব দেন সবাই মিলে ক্যাম্পাসে একটি পুনর্মিলনী করার। প্রায় ছয় মাসের প্রস্তুতি শেষে সবাই একত্রিত হন প্রিয় ক্যাম্পাসে।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের (সাবেক দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ) ১৯৯৪-১৯৯৫ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২২ মে হাজির হয়েছিলেন প্রিয় ক্যাম্পাসে। সে ব্যাচের ৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এসেছিলেন ২১ জন। কুশল বিনিময় আর আলিঙ্গনে রত হলেন তাঁরা। ছুটছেন ক্যাম্পাসের এদিক-সেদিক। স্মৃতি হাতড়ে খুঁজছেন প্রিয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কাউকে পেয়ে গেলে জড়িয়ে ধরছেন, কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি তুলছেন ছবি। এর আগে তাঁরা নির্ধারিত কর্মসূচি ধরে ঘুরেছেন দিনাজপুরের রামসাগর, মাতাসাগর, রাজবাটি, কান্তজিউ মন্দির, সিংড়া শালবনে। আর বৃহস্পতিবার জড়ো হয়েছেন প্রিয় ক্যাম্পাসে।