বই প্রেমী মানুষের উন্মুক্ত জ্ঞান আহরণের চেতনাকে সমৃদ্ধ করতে দেশ জুড়ে কাজ করছে বই-বিহঙ্গ। এটি একটি উন্মুক্ত পাঠশালা। এখানে বিনা খরচে বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন পাঠকেরা।
আজ ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস। ১৯৯৫ সালে ইউনেসকো প্রথম এ দিবসটি উদ্যাপন করে। এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। থেমে নেই বই-বিহঙ্গও। বই নিয়ে কাজ করা এ সংগঠনটির ফরিদপুর শাখা দিনব্যাপী দিবসটি উদ্যাপন করেছে। এতে অংশগ্রহণ করেছে ফরিদপুরের বই প্রেমী মানুষেরা। বই দিবস উপলক্ষে বই-বিহঙ্গ ফরিদপুর শাখা কুইজ প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা, নীরব বই পাঠ, ছোটগল্প প্রতিযোগিতা এবং সেরা পাঠকদের বই উপহার দেওয়াসহ নানা আয়োজন করেছে।
২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বই-বিহঙ্গের যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজিব শিকদার ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. খশরু আহসান, আসাদুজ্জামান জিলানীর নেতৃত্বে বই-বিহঙ্গ দেশ ব্যাপী কাজ করে থাকে। বর্তমানে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, বগুড়া আজিজুল হক কলেজসহ আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শাখা রয়েছে।
বই-বিহঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা সজিব শিকদার বলেন, ‘বিভিন্ন জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বই-বিহঙ্গের শাখা প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে থাকে, যাঁরা প্রতি সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে বইগুলো পাঠকদের মাঝে লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ফলে পাঠকেরা তাঁদের পছন্দের বইটি বিনা মূল্যে পড়তে পারেন।’
আসাদুজ্জামান জিলানী বলেন, ‘বই বিহঙ্গের সদস্য হতে কোনো ফি দিতে হয় না। উল্টো যে পাঠক এক মাসে সব চেয়ে বেশি বই পড়ে, তাঁকে ওই মাসের শাখার শ্রেষ্ঠ পাঠক নির্বাচিত করা হয় এবং পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় বই।’
বই-বিহঙ্গ প্রতি মাসে বই বিষয়ক বিভিন্ন অনলাইন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এর মধ্যে ছোট গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, বুকগ্রাফি প্রতিযোগিতা অন্যতম। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজেতাকেও উপহার হিসেব বই দেওয়া হয়।
এভাবেই বই-বিহঙ্গের প্রতিটি শাখা এগিয়ে যাচ্ছে আপন উদ্যমে। বই-বিহঙ্গ বিশ্বাস করে পুরো পৃথিবীটা একদিন বইয়ের হবে।