মমতাজ জাহান মম
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে কমলালেবুর মতো বড় যে গোল বিল্ডিংটি দেখা যায়, তার নাম সি বিল্ডিং। এখানেই রয়েছে চোখধাঁধানো এক লাইব্রেরি। এ বিল্ডিংয়ে প্রবেশের পর প্রথমে চোখ পড়বে ইতালীয় রেনেসাঁ যুগের চিত্রশিল্পী রাফায়েলের চিত্র ‘দ্য স্কুল অব এথেন্স’। এ বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে মাঝ বরাবর রোদের আলো এসে পড়ে এই চিত্রের ওপর। সব মিলিয়ে অপূর্ব আলোয় ঝলমল করে পুরো লাইব্রেরিটি।
পড়াশোনা, নোটস, অ্যাসাইনমেন্ট, লেখালেখি ও বই পড়ার বাইরেও শিক্ষার্থীদের গ্রুপ স্টাডির জন্য লাইব্রেরির ওপরে রয়েছে আরেকটি কক্ষ। সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই লাইব্রেরি খোলা থাকে। শিক্ষার্থীদের ভিড়ে দুপুর ১২টার পর থেকে লাইব্রেরিতে জায়গা পাওয়া দায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন এ লাইব্রেরিতে বসে।
লাইব্রেরিতে কী রয়েছে
পত্রিকা কর্নার: লাইব্রেরিতে ইংরেজি ও বাংলা ভাষার দৈনিক পত্রিকা পাওয়া যায়। সকাল সকাল লাইব্রেরিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের যে কেউ এখানে দৈনিক পত্রিকাগুলো পড়তে পারবেন।
মুক্তিযুদ্ধ কর্নার: লাইব্রেরিটিতে ঢুকতেই এর সম্মুখভাগে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার। এই কর্নারে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।
সাহিত্য কর্নার: এখানে রয়েছে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের বিশাল সংগ্রহ। বাংলা ও ইংরেজি ভাষার প্রচুর ধ্রুপদি উপন্যাসের সংগ্রহ রয়েছে এখানে। এ ছাড়া রয়েছে পদার্থ ও রসায়নবিজ্ঞান, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান কিংবা মনোবিজ্ঞানসহ প্রায় সব বিভাগের বই।
বই সংগ্রহ
লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় বই অনুসন্ধানের জন্য রয়েছে ডিজিটাল ও অ্যানালগ দুটি ক্যাটালগ সিস্টেম। কম্পিউটার বা কার্ড ক্যাটালগ সিস্টেমে বই ও লেখকের নাম লিখে খুঁজলেই পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় বই। কাঙ্ক্ষিত বই খুঁজে পাওয়া না গেলে লাইব্রেরিয়ানের সহায়তা নেওয়া যাবে। এক সপ্তাহের জন্য একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনটি বই নিতে পারবেন লাইব্রেরি থেকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিতে না পারলে প্রতিদিনের জন্য ১০ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
লাইব্রেরিতে যে নিয়মগুলো মানতে হবে