প্রতিটি সাফল্যের পেছনে থাকে অদম্য প্রচেষ্টা এবং আত্মত্যাগ। এমন এক খুদে দৌড়বিদের কথা আজ বলব, যে তার কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সে হলো মারুফ ইসলাম, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার শিদলাই আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শৈশব ও প্রতিকূলতা জয়
পিতৃহীন মারুফ তার মা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উৎসাহ ও সহায়তায় দৌড়বিদ হওয়ার স্বপ্ন দেখে। ২০২৩ সালে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সে শিক্ষকদের নজর কাড়ে। এর পর থেকে শুরু হয় তার জাতীয় পর্যায়ের পথচলা।
জাতীয় পর্যায়ে পথচলা
২০২৩ ও ২০২৪ সালে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা, উপ-অঞ্চল ও অঞ্চল পর্যায়ে শিরোপা জিততে পারেনি মারুফ। তবে সে হাল ছাড়েননি। ২০২৫ সালের প্রতিযোগিতা ছিল তার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার এবং রিলে দৌড়—সব কটিতেই প্রথম হয়ে উপ-অঞ্চলে জায়গা করে নেয়।
সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ২০০ মিটারে দ্বিতীয় এবং রিলে দৌড়ে প্রথম স্থান অর্জন করে জাতীয় পর্যায়ে জায়গা করে নেয়।
সাফল্যের চূড়ায় মারুফ
অবশেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ২০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান অর্জন করে মারুফ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘মারুফের আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রম তাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমি নিশ্চিত, সে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনতে পারবে।’
ভবিষ্যতের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা মারুফের এখন একটাই স্বপ্ন—আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা।