প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই নিসর্গের সৌন্দর্য চোখে পড়ে। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি গাছের সঙ্গে হাতছানি দেয় সবুজ মাঠ। আইসিসি মানদণ্ডের আন্তর্জাতিক মানের খেলার মাঠের পরেই বিশাল সবুজ ভবন। সাইনবোর্ডে লেখা গ্রিন ইউনিভার্সিটির নাম।
প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ভবনের এক পাশে রয়েছে শহীদ মিনার, ওপেন স্পেস এবং অদূরে একাডেমিক ভবন। শুধু তা-ই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে জায়গাজুড়ে রয়েছে নানান প্রজাতির গাছ। চারপাশের এমন প্রকৃতি গ্রিন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকেই দেখা মেলে সবুজের। ঢাকার অদূরে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে নান্দনিক এমন পরিবেশই এখন গ্রিন ইউনিভার্সিটির ঠিকানা। কয়েক বছর ধরে এই ক্যাম্পাস আংশিক চালু থাকলেও সম্প্রতি রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে পুরোপুরি স্থানান্তরিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
পরিবহনে যোগ হয়েছে অর্ধশতাধিক বাস
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড নিউসহ অর্ধশতাধিক বাস যোগ হয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পরিবহন বহরে। বাসের পাশাপাশি রয়েছে মাইক্রোবাস, কোস্টারসহ আরও কিছু যানবাহন। পরিবহন শাখা জানায়, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বর্তমানে ১৩টি রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল করছে। এসব রুটের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর শেওড়াপাড়া-মিরপুর-১০, শ্যামলী, ধানমন্ডি-আজিমপুর, ফার্মগেট-শাহবাগ, বাড্ডা-মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া, ডেমরাসহ নরসিংদী, ভুলতা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ। রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এসব বাসে যাতায়াত করছেন।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মনোরম পরিবেশে অত্যাধুনিক ক্যাফেটেরিয়া চালু করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এখানে আধুনিক চেয়ার-টেবিলের মাধ্যমে ইনডোর যেমন সাজানো হয়েছে, তেমনি সবুজের ছোঁয়া রয়েছে ক্যাফেটেরিয়ার আউটডোরে। সেই সঙ্গে আধুনিক ফ্যান-লাইটিং ও বিল গ্রহণে অটোমেশন সিস্টেমও রয়েছে। নবনির্মিত এই ক্যাফেটেরিয়ায় একসঙ্গে আড়াই শর বেশি শিক্ষার্থী খাবার খেতে পারছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য গ্র্যাজুয়েট গড়ে তোলাই গ্রিন ইউনিভার্সিটির মূল উদ্দেশ্য। এই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো স্থায়ী ক্যাম্পাস। আর এ কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে সবুজের মাঝে আধুনিক ক্যাম্পাস গড়ে তুলেছে গ্রিন। ভবিষ্যতেও এই ক্যাম্পাসের উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকবে। যেটি আমাদের মানসম্মত শিক্ষাদান তো বটেই, পাশাপাশি পরিবেশের মান রক্ষার ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল স্থায়ী ক্যাম্পাস। সে হিসেবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফেরা নিঃসন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য আনন্দের। আমরা এখানে সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ধাপে ধাপে এই সুবিধা আরও বৃদ্ধি করে গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়া হবে।’