গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ও নৃত্যশিল্পী অঞ্জনা রহমানকে। চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নায়িকার ছেলে নিশাত মণি জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের অবস্থা ভালো নয়, খুব সংকটাপন্ন। মায়ের জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন মণি। তিনি জানিয়েছেন, ১৫ দিন আগে জ্বর শুরু হয় চিত্রনায়িকার, একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গণমাধ্যমকে মণি বলেন, ‘কয়েকটি পরীক্ষার পর রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে আম্মুর। কয়েক দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছে, এখনো সুস্থ হননি তিনি। আমার আম্মুই চাননি তাঁর অসুস্থতার কথা কাউকে বলি। উনি ভেবেছিলেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে কাউকে দুশ্চিন্তায় ফেলতে চাননি তিনি।’
অভিনেত্রী অঞ্জনার এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেই মায়ের সঙ্গে আছেন। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা ও বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয় বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ সিনেমা দিয়ে। তবে, তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’।
আজিজুর রহমান পরিচালিত অশিক্ষিত সিনেমায় নায়করাজ রাজ্জাকের বিপরীতে লাইলি চরিত্রে অভিনয় করেন অঞ্জনা। রাজ্জাকের বিপরীতে তিনি ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ সিনেমায় অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন অঞ্জনা।