অনলাইন ডেস্ক
ভারতজুড়ে টানা কনসার্ট করেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ। দেশের নানা শহর ঘুরে গান শুনিয়ে দিল জিতে নিলেন দিলজিৎ। তিনি পাড়ি জমাবেন কানাডায়। এর আগে সাক্ষাৎ করলেন ভারতের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই সাক্ষাতের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মোদি। দিলজিতের প্রশংসা করে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
লক্ষ্ণৌ, পুনে, কলকাতা, বেঙ্গালুরুর, ইন্দোর, চণ্ডীগড়, গুয়াহাটি হয়ে শেষ হয়েছে দিলজিতের কনসার্ট। কনসার্ট শেষ করে মোদির সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, ‘দিলজিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ মনে রাখার মতো। খুবই গুণী মানুষ দিলজিৎ। তাঁর শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত এ দেশ। যা সমৃদ্ধ করে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি হিসেবে উল্লেখ করেন পাঞ্জাবি এই গায়ক।
দিলজিতের শো মানেই যেন বিতর্ক। হোক তা হায়দরাবাদ কিংবা চণ্ডীগড়। ১৯ নভেম্বর মুম্বাইয়ে হয়ে যাওয়া শোতে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অন্যান্য জায়গার মতো মুম্বাইতেও এই শোয়ের জন্য কিছু কড়া বিধিনিষেধ দিয়েছিল প্রশাসন। এর মধ্যে ছিল মাদক বিক্রি, মদ্যপান। এমনকি কনসার্টের আওয়াজের নিয়মও বেঁধে দিয়েছিল প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, দেশ হোক কিংবা বিদেশ, দিলজিৎ যেখানেই কনসার্ট করুন না কেন, উপচে পড়ে ভিড়। কয়েক দিন আগে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামেও ছিল একই দৃশ্য। কনসার্ট শেষে মাঠজুড়ে দেখা যায় ছড়িয়ে রয়েছে মাংসের হাড়, মদের বোতল। এ নিয়ে চলে তুমুল সমালোচনা। এমনকি ‘লেমোনেড’ ও ‘পাঁচ তারা’ এ দুটি গান নিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দিলজিৎ। এর জেরে তেলেঙ্গানা ও গুজরাটে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল গায়ককে।
এবার হায়দরাবাদে শোয়ের আগে তেলেঙ্গানা সরকারের তরফে তাই আইনি নোটিশ পাঠানো হয় এই পাঞ্জাবি পপতারকাকে। তাঁর বিরুদ্ধে গানে মাদকের প্রচার করা হয়—এমন অভিযোগও ওঠে। যদিও এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন দিলজিৎ নিজেও। বলেছিলেন, ‘আগে দেশে মদ নিষিদ্ধ হোক, এরপর আমাকে শাসাবে।’