২৪ বছর পর দেশে ফিরলেন নব্বইয় দশকের পর্দা কাঁপানো নায়িকা মমতা কুলকার্ণি। মুম্বাইয়ে এসে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে বাড়ি ফেরার আনন্দ প্রকাশ করেছেন। ২০০০ সালে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর এটাই তার প্রথম ভারত ফেরা। তবে কি পুনরায় বলিউডে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে—এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে ভক্ত-অনুরাগীদের।
গত বুধবার মমতা কুলকার্নি দেশে ফিরেছেন। তবে হঠাৎ দেশে ফেরায় আলোচনায় এসেছে তাঁর জীবনের এক বিতর্কিত অধ্যায়। ২০১৬ সালে থানে পুলিশ ২ হাজার কোটি কাটার একটি মাদক পাচার চক্রের তদন্ত শুরু করে। যেখানে মমতার নাম জড়িয়ে পড়ে।
থানে পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে অবস্থিত অ্যাভন লাইফসায়েন্সেস লিমিটেড নামের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির মাধ্যমে এফিড্রিন নামের একটি নিয়ন্ত্রিত পদার্থ পাচার করা হতো। পুলিশের দাবি, এই এফিড্রিন কেনিয়ায় পাঠানো হতো এবং সেখানে এটি মেথঅ্যামফেটামিনে রূপান্তরিত হয়ে মার্কিন বাজারে বিক্রি হতো।
মমতা কুলকার্ণি এবং তার সঙ্গী কথিত মাদক সম্রাট ভিকি গোস্বামীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগ ছিল, তারা ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি কেনিয়ার ব্লিস হোটেলে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে এই মাদক পাচারের পরিকল্পনা করা হয়।
মামলার তদন্তে পুলিশের দেওয়া প্রমাণ শক্তিশালী না হওয়ায় মুম্বাই হাইকোর্ট সম্প্রতি মমতার বিরুদ্ধে থাকা এফআইআর খারিজ করে। আদালত জানান, অভিযোগ ছাড়া মমতার বিরুদ্ধে অন্য কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ ছাড়া সহ-অভিযুক্ত জয় মুখি, যিনি মমতার জড়িত থাকার কথা বলেছিলেন, পরে জানান চাপের মুখে তিনি ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন।
মমতা কুলকার্ণি শুরু থেকেই দাবি করেছিলেন তাকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আদালতের এই রায় তার জন্য একটি বড় স্বস্তি, যা তাকে বিতর্কের অধ্যায় পেছনে ফেলে নতুন করে জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।