‘স্বপ্নদলের মঞ্চে প্রত্যাবর্তন, পাশে চাই তোমায় সুহৃদ-স্বজন’ স্লোগান নিয়ে মঞ্চে ফিরছে স্বপ্নদল। গণ-অভ্যুত্থানের বিরতি শেষে ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মূল হলে ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ মঞ্চায়ন করবে দলটি। ওই দিন নাটকটির ১২৩তম প্রদর্শনী হবে। বাদল সরকারের মূল রচনা অবলম্বনে যুদ্ধবিরোধী গবেষণাগার নাট্য ত্রিংশ শতাব্দীর রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
নির্দেশক জাহিদ রিপন জানিয়েছেন, এই নাটকটি যুদ্ধোন্মাদনার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ। প্রযোজনাটির উপস্থাপনায় প্রয়োগ করা হয়েছে হাজার বছরের নাট্য-ঐতিহ্যের ধারায় আধুনিক বাংলা নাট্যরীতি। এর মূল কাহিনি পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির আণবিক বোমা বিস্ফোরণের অপ্রত্যাশিত পরিণতি। এর সমান্তরালে উপস্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বসনিয়া, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান-ভারত, ইরাকে আগ্রাসন, কুয়েত-তিউনিসিয়া-ইয়েমেন-সিরিয়া-তুরস্ক-মিয়ানমার-গুলশানে বর্বর হামলা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচকতা, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অমানবিকতাসহ নানা প্রসঙ্গ। বহুমুখী দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধবাজ-যুদ্ধাপরাধী-অশান্তিকামীদের স্বরূপ উদ্ঘাটনের পাশাপাশি তাদের কাজের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী বীভৎসতার চিত্র উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা হয়েছে। সভ্যতা ধ্বংসকারী মানবসৃষ্ট যুদ্ধ-গণহত্যা-অনাচারের বিপরীতে মানুষের বর্তমান কর্তব্য অনুধাবন এবং এ ক্ষেত্রে দর্শককে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মুখোমুখি স্থাপনই ত্রিংশ শতাব্দী নাটকের প্রত্যাশা। যুদ্ধ ও আণবিক অস্ত্রবিরোধী সচেতনতা তৈরিতে ২৩ বছর ধরে হিরোশিমা দিবস পালনের পাশাপাশি ত্রিংশ শতাব্দীর নিয়মিত মঞ্চায়ন করছে স্বপ্নদল।