সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় মানিকগঞ্জের গুণী শিল্পীদের বিশেষ সম্মাননা, ক্রেস্ট ও নগদা অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জেলার ১৫ জন গুণী শিল্পীকে এই বিশেষ সম্মাননা, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্ত ১৫ জন গুণী হলেন—লোক সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য মো. আবুল বাশার আব্বাসী (২০১৮), কণ্ঠসংগীতে বিউটি আক্তার (২০১৮), যাত্রাশিল্পে গোকুল ঘোষ (২০১৮), চারুকলায় পরিমল চন্দ্র অধিকারী (২০১৮), নাট্যকলায় হরিপদ সূত্রধর (২০১৮), কণ্ঠসংগীতে রতন কুমার সাহা (২০১৯), সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠক আবুল ইসলাম শিকদার (২০১৯), চারুকলায় গোপাল চন্দ্র পাল (২০১৯), যাত্রাশিল্পে তাপস সরকার (২০১৯), যন্ত্রসংগীতে মো. তসলিম উদ্দীন (২০১৯), সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন সাংস্কৃতিক বিপ্লবী সংঘ (২০২০), চারুকলায় মো. খোরশিদ আলম (২০২০), কণ্ঠসংগীতে রুমানা ইসলাম (২০২০), যন্ত্রসংগীতে গোবিন্দ চন্দ্র রায় (২০২০) এবং লোক সংস্কৃতিতে মো. হাকিম উদ্দীন (২০২০)।
অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সেলিনা সাঈয়েদা সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তি প্রশিক্ষক শাকিল আহমেদ সনেটের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।
বক্তারা বলেন, মানুষের শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক চেতনায় সুস্থধারার সৃজনশীল বিকাশে সম্মাননা অন্যতম মাধ্যম। যাঁরা সম্মানিত হলেন, তাঁদের পথ ধরেই নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক চর্চা আরও বিকাশমানসহ প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণের পথ আরও সুগম হোক এই প্রত্যাশা করি।