অনলাইন ডেস্ক
ভারতের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকি নিহতের পর থেকে আবারও প্রাণ নাশের হুমকিতে বলিউড ভাইজান সালমান খান। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার নিরাপত্তা। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা অভিযোগে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এমন হুমকিতে সালমান। যেতে হয়েছিল হাজতেও। এরই মধ্যে বিগ বসের এক অংশগ্রহণকারীকে শিক্ষা দিতে থানায় আটকের একটি ভিডিও ক্লিপের উদাহরণ টানলেন ভাইজান।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর জন্যই নব্বইয়ের দশকে সালমানকে থানায় যেতে হয়েছিল। থানার ভেতরের একটি ভিডিও বহুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী রজত দালালকে শিক্ষা দেন সালমান।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা সংক্রান্ত পুরোনো ওই ভিডিও নিয়ে সালমান বলেন, ‘আমার আগের ক্লিপিং দেখেছেন হয়তো। মনে হতে পারে-এই দেখো সালমান খান পুলিশ স্টেশনে বসে আছে মেজাজ নিয়ে। কিন্তু আমি তো এতে জড়িতই ছিলাম না, তাহলে ভয় পাব কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যখন আসেন, তখন উঠে দাঁড়ানো, তাঁকে সম্মান জানানো, ওই পদের সম্মান জানানো দরকার ছিল। তাই যখনই আমি আমার ওভাবে বসে থাকার ক্লিপিংটা দেখতে পাই, নিজেরই ভালো লাগে না। ভাবি-অল্প বয়সে এ আমি কী করেছিলাম।’
প্রতিটি মানুষের নিজস্বতা জের টেনে ভাইজান বলেন, ‘আমার একটা হাঁটাচলার ধরন আছে, তা তো বদলাতে পারব না। তাতে মনে হয় বদমেজাজি, অহংকার আছে, কিন্তু তা নেই। আপনার সামনে আপনার থেকেও জোরে কথা বলতে পারি আমি। কিন্তু তা তো আমি করি না! এটা আমার চয়েস।’
মূলত ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেই ছবির শুটিং চলাকালীনই শিকারে গিয়েছিলেন সালমান খান, সাইফ আলী খান, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম, তাবুরা। সেখানেই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করা হয়েছিল। কৃষ্ণসার হরিণকে ঈশ্বরজ্ঞানে পূজা করেন বিষ্ণোই সমাজ। তার জেরেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের রোষানলে পড়েন সালমান। এমনকি, সালমানের বাড়ির গুলিবর্ষণের নেপথ্যেও নাকি বিষ্ণোই গ্যাংয়েরই হাত রয়েছে।