হোম > বিনোদন > গান

এবার কি সুফল পাবেন শিল্পীরা?

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গানের কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক ডিজিটালের বিরুদ্ধে গতকাল মামলা করেছেন জেমস ও ব্যান্ড মাইলস। গতকাল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বেলা ১১টায়  মামলার আবেদন করে মাইলস এবং দুপুর ১২টায় জেমস। জেমস মামলার আবেদন করেছেন ‘দুখিনী দুঃখ কোরো না’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুস্মিতা’, ‘যার যার ধর্ম’সহ মোট ছয়টি গানের জন্য। অন্যদিকে মাইলস মামলা করেছে ‘ফিরিয়ে দাও আমারই প্রেম’, ‘নীলা তুমি কি চাও না’সহ মোট তিনটি গানের কপিরাইট নিয়ে। মামলার আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

গায়ক, সুরকার, গীতিকারদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন সংগঠন তৈরি হয়েছে। হয়েছে অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম। নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে শিল্পীদের অধিকার সুনিশ্চিত করার। সরকারও শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধুর মতো। ইতিমধ্যেই প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর গানের কপিরাইট সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিয়ে শিল্পীর পরিবারের হাতে এক বছরে প্রাপ্ত ৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছে কপিরাইট অফিস। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গানের কপিরাইট নিয়ে শিল্পীরা দীর্ঘদিন নানা পদক্ষেপ নিয়েও পুরোপুরি সুফল পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অনেকেই। জেমস ও মাইলসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই আশা করছেন শিল্পীদের মেধাস্বত্ব ও অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হবে সংশ্লিষ্টরা। শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার ও চিরকুট ব্যান্ডের সুমি জানিয়েছেন তাঁদের মতামত।

একদিন দেশে সব শিল্পীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে
-কুমার বিশ্বজিৎ, কণ্ঠশিল্পী

আমাদের দেশে সৃষ্টিশীল মানুষগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত। শিল্পীদের সৃষ্টিগুলো শিল্পীদের সম্পদ। এটা শিল্পীদের পরবর্তী প্রজন্মের অধিকার। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া, অযাচিতভাবে শিল্পীদের বঞ্চিত করে অর্থ আহরণ করে, তাহলে এ ধরনের আইনি সহায়তা নেওয়া যেতেই পারে এবং নেওয়া উচিত। এতে শিল্পীদের অধিকার সংরক্ষণ হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শিল্পীদের অধিকার ও কপিরাইট আদায়ের ব্যাপারে কাজ করার চেষ্টা করছি। আমার বিশ্বাস, একদিন দেশে সব শিল্পীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

শুধু গায়ক নন, একটি গানের জন্য গীতিকার, সুরকার—সবারই কপিরাইট রয়েছে
-ফাহমিদা নবী, কণ্ঠশিল্পী

আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাই। একদল সারাক্ষণ ভোগ করে যাবে আর একদল অধিকারবঞ্চিত হবে, এটা তো হতে পারে না। আমি আর কী বলব, আমার নিজের অনেক গানই অনলাইনে দেখি কে বা কারা যেন কপিরাইট করে রেখেছে। আমার সুর করা, আমার লেখা, আমার গাওয়া গানও অন্যরা কপিরাইট করে ভোগ করছে। এ কেমন কথা? অবশ্যই শিল্পীদের অধিকার শিল্পীদের দিতে হবে। শুধু গায়ক নন, একটি গানের জন্য গীতিকার, সুরকার—সবারই কপিরাইট রয়েছে। এটাও নিশ্চিত করতে হবে।

সবারই কপিরাইট বিষয়টি নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত
-বাপ্পা মজুমদার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী

শিল্পী ও সৃষ্টি মাধ্যমে যাঁরা জড়িত আছেন, তাঁদের সবাইকেই কপিরাইট বিষয়টি নিয়ে সচেতন হতে হবে। গানের ক্ষেত্রে যদি বলি, শুধু গায়ক নন, গানের গীতিকার, সুরকারসহ সবারই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। আগে কেউই এ বিষয়ে সচেতন ছিলেন না। আস্তে আস্তে সেই সচেতনতা বাড়ছে। এটা অবশ্যই পজিটিভ। এমনটা হলে অদূর ভবিষ্যতে শিল্পীদের অধিকার নিশ্চিত হবে। শিল্পীদের আর “দুস্থ” থাকতে হবে না।’

যত দ্রুত সম্ভব শিল্পীদের অধিকার নিশ্চিত করা উচিত
-সুমি, কণ্ঠশিল্পী ও দলপ্রধান, চিরকুট ব্যান্ড

আমাদের বুঝতে হবে গান গাওয়া বা তৈরি করা একজন শিল্পীর পেশা। শিল্পীরা বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের মনের কথা বলেন। তাঁদের পরিশ্রম আর মেধার ফসল কেন অন্যেরা অযাচিতভাবে ভোগ করবেন? কেন শিল্পীদের মুখফুটে চাইতে হবে তাঁর প্রাপ্য সম্মানী? পৃথিবীর অনেক দেশেই একটা গান হিট হলে সেই গান দিয়ে শিল্পীর জীবন কেটে যায়। আর আমাদের দেশে কেন শিল্পীদের দুস্থ হয়ে সাহায্য চাইতে হয়? যত দ্রুত সম্ভব শিল্পীদের অধিকার নিশ্চিত করা উচিত, তা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও একই ভোগান্তিতে পড়বে।

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের কবিতা থেকে ইমন চৌধুরীর গান

লাখো তরুণীর হৃদয় ভেঙে কাকে বিয়ে করলেন দর্শন

বড় আয়োজনে আসছে লিভিং রুম সেশন

নকীব খানের সংগীত জীবনের ৫০ বছর উদ্‌যাপন

প্রথম একক সংগীতসফর শুরু করছেন বিটিএসের জে-হোপ

পড়শীর বর কে এই নীলয়

পড়শী জানালেন, ১০ মাস আগেই বিয়ে হয়েছে তাঁর

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নীলয়ের সঙ্গে পড়শীর বিয়ের গুঞ্জন

সায়ানের নতুন গান ‘এটাই আমার রাজনীতি’

রাফির কথায় অনিমেষের ‘ক্ষমা চাই’

সেকশন