বিনোদন ডেস্ক
সংগীতশিল্পী উত্তমকুমার রায়ের একক সংগীতসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয় অনুষ্ঠান। ‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’ গানটি দিয়ে পরিবেশনা শুরু করেন উত্তমকুমার। এরপর একের পর এক প্রায় আড়াই ঘণ্টা গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন তিনি।
গানের ফাঁকে ফাঁকে উত্তমকুমার রায় তাঁর সংগীত চর্চা, সংগীত জীবন নিয়ে কথা বলেন। দীর্ঘদিন তিনি নজরুল চর্চা করেছেন সংগীতজ্ঞ সুধীন দাশ ও সোহরাব হোসেনের কাছে। উত্তমের সংগীতের প্রথম শিক্ষক প্রয়াত দেলোয়ার হক। বিশুদ্ধ মার্গসংগীত শিখেছেন উস্তাদ মিহির লালা, অনিলকুমার সাহা, গৌতম ভট্টাচার্য, উস্তাদ মাশকুর আলী খান, শুভ্রা গুহ, বিদুষী শান্তি শর্মা প্রমুখের কাছে। উচ্চাঙ্গ সংগীতে উচ্চতর তালিম নিয়েছেন পণ্ডিত তুষার দত্তের কাছে।
সংগীতশিল্পী উত্তমকুমার রায়ের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সোনারগাঁয়ে। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর গান গাওয়ার শুরু। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন—সবখানেই সংগীতশিল্পী হিসেবে জুটেছে সম্মান আর পুরস্কার। উত্তমের পড়াশোনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নজরুল ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমায় প্রথম শ্রেণি পাওয়া উত্তমকুমার এই প্রতিষ্ঠানটির সার্টিফায়েড প্রশিক্ষক। এ ছাড়া রবীন্দ্রভারতী থেকে বিমিউজ সম্পন্ন করেছেন। তিনি তালিম নিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞদের কাছে।
বিটিভিসহ দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেলে নানা ধারার গানের অনুষ্ঠান করে নাম কুড়িয়েছেন উত্তমকুমার। তিনি বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তাঁর নিজের লেখা ও সুর করা অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে। উত্তমকুমারের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‘ভালোবাসার ময়না’, ‘আমার চোখের জলে বহে নদী’ অন্যতম।
২০০৪ সালে উত্তমের প্রথম অ্যালবাম ‘হাওয়া’ প্রকাশ পায়। কাজী নজরুল ইসলামের বাছাই করা অবিস্মরণীয় কীর্তন, ভজন, বাউল, শ্যামা বিষয়ক ৮টি ভক্তিগীতি নিয়ে ‘এলোরে শ্রী দুর্গা’ অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এছাড়া উত্তমের গাওয়া আধুনিক ও নজরুল সংগীতের বেশকিছু মিক্সড অ্যালবাম বাজারে রয়েছে।