আইয়ুব বাচ্চুর গানের ডিজিটাল আর্কাইভিং থেকে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন ডলার উপার্জন হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে এক অনুষ্ঠানে পরিবারের পক্ষ থেকে শিল্পীর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার সেই চেক গ্রহণ করেছেন। চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবিহা পারভীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেজিস্টার অব কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরী।
সংগীতশিল্পীদের শিল্প সংরক্ষণ ও স্বত্ব সুরক্ষায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নেয় গত বছর। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর সংগীতজীবনের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ ও ডিজিটাল আর্কাইভিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। এই কর্মসূচির উদ্বোধন হয় গত বছর ১৮ অক্টোবর। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্থানীয় একটি পেশাদার এমসিএন প্রতিষ্ঠান জেড এম স্টুডিওর সহযোগিতায় আইয়ুব বাচ্চুর কপিরাইট নিবন্ধিত ২৭২টি গান নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে (ইউটিউব, আই-টিউন, ফেসবুক, আমাজন ইত্যাদি) চ্যানেল খুলে মনিটাইজিং ও ডিজিটাল সিঙ্কিং করা হয়। এতে গত এক বছরে এই আর্কাইভিংয়ের মাধ্যমে আইয়ুব বাচ্চুর গান থেকে উপার্জন হয় ৫০১৪.৪৮ মার্কিন ডলার।
জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিকের রক আইকন আইয়ুব বাচ্চু। তিনি ছিলেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের প্রথম আবেদনকারী। তাঁর কালজয়ী সৃষ্টিকে সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ উদ্যোগ।’