প্রতিনিধি, রাজশাহী
এন্ড্রু কিশোরকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের চেনেন কয়জন? তাঁরা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নেই পদচারণা। যেন সবার আড়ালেই থাকতে পছন্দ করেন তাঁরা।
কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের জীবনের গল্প শেষ হয়েছে এক বছর আগে। তাঁর মৃত্যুর পরও কিশোরের স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু, ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক ও মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞার কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। সপ্তক ও সংজ্ঞা পড়াশোনা করেন অস্ট্রেলিয়ায়। বাবার মৃত্যুতে দেশে এসে আর ফিরতে পারেননি। তাঁদের মা লিপিকা একজন প্রকৌশলী। বর্তমানে কাজ থেকে দূরে আছেন।
গত রোববার ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথানে নিজের বাসায় বসে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, ‘কিশোরও তো সব সময় প্রচারবিমুখ ছিল। কখনো নিজেকে হাইলাইটস করতে চায়নি। এই যে আপনি এসেছেন, আমরা কিন্তু ডাকিনি। এটাই তো বড় প্রাপ্তি। তা ছাড়া লিপিকা তো গানের জগতের মানুষ নয়। সে কারণে স্বাভাবিকভাবেই তিনি সবার থেকে দূরে। আগ বাড়িয়ে কখনো বলতে যান না, আমার স্বামী অমুক। সে এত বড় শিল্পী।’
ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস জানালেন, এন্ড্রু কিশোরের ছেলেমেয়ে পড়াশোনা শেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হতে চান। আর তাঁদের মা এলজিইডির প্রকল্পে কাজ করতেন। এন্ড্রু কিশোরকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার পর প্রকল্পটি শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি বেকার।