বিনোদন ডেস্ক
বাংলা গানের ইতিহাসে এত অন্ধকার সময় হয়তো আর আসেনি। একই দিনে পতন হলো বাংলা গানের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বাপ্পি লাহিড়ির। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ৯০ বছর বয়সে কলকাতার এক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁর চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে মুম্বাইয়ের আরেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন বাপ্পি লাহিড়ি। হাসপাতালের তরফ থেকে বাপ্পির মৃত্যুর খবর জানানো হয় আজ বুধবার সকালে।
বাপ্পি লাহিড়ির শেষকৃত্য হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। তাঁর পরিবার সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীর একমাত্র ছেলে বাপ্পা থাকেন লস অ্যাঞ্জেলেসে। সেখান থেকে ফিরতে বৃহস্পতিবার ভোর হয়ে যাবে। তার পরই মুম্বাইয়ের পবন হংস মহাশ্মশানে হবে বাপ্পি লাহিড়ির শেষকৃত্য।
শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত মাসে মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। সুস্থ বোধ করায় বাড়িও ফিরেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই রাতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. দীপক নামজোশি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘লাহিড়ি এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরে তাঁর পরিবার একজন চিকিৎসককে বাড়িতে দেখার জন্য ডেকেছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। বাপ্পি লাহিড়ির একাধিক জটিলতা ছিল। রাতে ওএসএ অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে তিনি মারা যান।’
স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ওয়েবএমডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লিপ অ্যাপনিয়া হলো ঘুম-সম্পর্কিত শ্বাস-প্রশ্বাসের একটি ব্যাধি। এই রোগে ঘুমানোর সময়ে প্রায় ১০ সেকেন্ড বা এর বেশি সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত হয়ে যায়। আক্রান্তের গলার পেশি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শিথিল হয়ে আসে। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। পেশির শিথিলতায় শ্বাস নেওয়ার পথটি রুদ্ধ হয়ে আসে এবং ঘুমের সময় আচমকা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।
বাপ্পি লাহিড়ি সম্পর্কিত আরও পড়ুন: