২০২৩ সালের পর থেকে কোনো মিউজিক্যাল ট্যুর বা স্টেজ পারফরমেন্সে ছিলেন না তারকা শিল্পী জাস্টিন বিবার। ২০২১ সালের পর থেকে ছিল না কোনো নতুন গানের অ্যালবামও। আবার মিউজিক্যাল ট্যুর করবেন র্যামসে হান্ট সিনড্রোমে আক্রান্ত এই শিল্পী। আর এর কারণ হলো, অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য উঠে এসেছে ভারতীয় গণমাধ্যমে।
বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই তারকার প্রয়োজন টাকা। বিপুল খরচ বহন করতে তাঁকে অনুষ্ঠান করতে হবেই। সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে—গায়ক নাকি তাঁর সাবেক বিজনেস ম্যানেজারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। তাঁদের জন্যই নাকি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বিবারকে।
জাস্টিন বিবারের ব্যক্তিগত জীবন বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনায়। তাদেরও বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জনের মধ্যেই বিবার ও তাঁর স্ত্রী হেইলি ষষ্ঠ বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন। এ বছরের আগস্টে তাঁদের ছেলে জ্যাকের জন্ম হয়েছে।
রাডার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবার এক গুরুতর নিউরোলজিক্যাল সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন। নাম র্যামসে হান্ট সিনড্রোম। যার ফলে কাজে ভাটা পড়লেও কমেনি জীবনযাপনের ব্যয়।
শিল্পীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ‘জাস্টিন চিরকালই খরচের বিষয়ে বেপরোয়া এবং কোনো জিনিসের দাম বা নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স কোথাও নজর না দিয়ে খরচ করে যান। ফলে স্বাভাবিকভাবেই টাকার টান তো হবেই।’
সম্প্রতি ৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৪৯ ডলারের ট্যাক্সের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের যে এস্টেট তাঁর আছে, সেটার জন্যই করের ধাক্কা।
সূত্র জানিয়েছে, ‘বেবি’ গানের তারকার জন্য ‘সবচেয়ে দ্রুত’ আয় করার উপায় হচ্ছে ট্যুর করা। কিন্তু তাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে তাঁরই স্বাস্থ্য। ফেসিয়াল প্যারালাইসিস, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ভার্টিগো, গলার সমস্যার মতো একাধিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে তাঁর।