বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আ নিউ চ্যাপ্টার অব মেহনাজ লাইফ ইজ এবাউট টু বিগেইন’
এটাই ছিল ন্যান্সির ভিডিওর শিরোনাম। মেহেদী মহসিন ও নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির (সংক্ষেপে লোকে বলে ‘মেহেনাজ’) বিয়ে, গায়ে হলুদ, নতুন সংসার, ঝলমলে যাপন আর নিজেদের ছোট ছোট মুহূর্তের সমস্ত ছবি একত্রে জুড়ে যে ভিডিও ইউটিউবে আপ করেছেন গায়িকা, শিরোনামে তিনি ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছিলেন-বসন্ত এসে গেছে!
দু-মিনিটের ভিডিওটির শেষে আলট্রাসনোগ্রামের ছবিটিও রাখলেন গায়িকা। গল্পটা এভাবেই শুরু হলো।
চারদিকে ছড়াতে শুরু করলো ন্যান্সির মা হওয়ার খবর।
এরপর তিনি নাতিদীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে আরও স্পষ্ট করলেন, ‘আমাদের বিয়ের বয়স পাঁচ মাস চলছে। সব ঠিকঠাক থাকলে রিপোর্ট অনুযায়ী আমার গর্ভের সন্তানের জন্মের সময় দেখাচ্ছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে।’
ন্যান্সির ঝলমলে দিনগুলো আরও ভরিয়ে তুলতে ঘরে আসবে নতুন অতিথি। মেহেনাজ দম্পতির আনন্দের তাই শেষ নেই! প্রেগনেন্সির বিষয়ে চিকিৎসক নিশ্চিত করার পর কেক কেটে সুসংবাদকে সাদরে বরণ করে নিয়েছেন তাঁরা।
ন্যান্সি বলছেন, ‘নতুন আমার এক অংশের মুখ দেখার অপেক্ষায় দিন পার করছি। এ অপেক্ষা মধুর।’
তবে এ সুখবরটি দিতে গিয়েও ন্যান্সিকে আরও অনেক কিছু নিয়েই কথা বলতে হলো। অনেক ভুল তথ্য ছড়িয়েছে তাঁর মা হওয়ার খবরের সঙ্গে সঙ্গে।
অনেকে ভুল বুঝছেন, তাঁরা হয়তো তাঁদের সন্তানের নাম ঠিক করেছেন ‘মেহনাজ’। ন্যানসি শুধরে দিয়ে জানিয়েছেন, এটা তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর নামের কয়েনেজ মাত্র। অনাগত সন্তানের নাম তাঁরা ঠিক করেননি এখনো।
ন্যান্সির বক্তব্য অনুযায়ী, সিজারের জটিলতার প্রসঙ্গও তুলেছেন অনেকে। ‘পূর্বে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অনেক জটিলতা হয়েছে। আমি ভাবতেই পারিনি আর কখনো মা হব!’ ন্যান্সির মুখে এমন বক্তব্য জুড়ে অনেক পোর্টালে সংবাদও হয়েছে।
সেসবের প্রতিবাদ করে গায়িকা বলছেন, ‘আমি এসব আজগুবি লেখা পড়ে হতবাক হয়ে যাই। আমি এখন পর্যন্ত কোনো সাংবাদিকের সাথে এ ব্যাপারে কোনো কথাই বলিনি। তাহলে আমার এ বক্তব্য কি আমার প্রেতাত্মা এসে জানিয়েছে! সন্তান জন্ম দেওয়া, হোক সেটা প্রথম কিংবা পঞ্চম; প্রতিবারেই তীব্র আনন্দ এবং শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে একজন মাকে যেতে হয়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই।’
ফেসবুক পোস্টে হেটার্সদেরও একহাত নিয়েছেন ন্যান্সি। লিখেছেন, ‘অনেক অযাচিত লোকের আমার জীবনের সুখবরটি শুনে গাত্রদাহ হচ্ছে জানি। গালিগালাজ করার জন্য ইতিমধ্যেই জিহ্বাতে ধার দিয়ে রেখেছেন। বিশ্বাস করেন, আপনাদের আমার জীবনে থাকা না থাকাতে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। কোনো বিকৃত রুচির নারী-পুরুষের জন্য মেহেনাজ পরিবার তাদের আনন্দ বিসর্জন দিবে না।’