গত বছর হঠাৎ করে বাংলা ভাষার দর্শকদের চক্ষু চড়কগাছ করে সামনে আসে একটা সিরিজ। নাম ‘শাটিকাপ’ একেবারে নতুন লোকেশন, কোনো পরিচিত আর্টিস্ট নেই, পরিচালকের নামও কেউ জানে না। কিন্তু স্ক্রিনের ওপর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও চোখ সরানো যাচ্ছে না।
টান টান উত্তেজনার শাটিকাপ দেশ বিদেশের দর্শকদের নড়ে চড়ে বসতে বাধ্য করল। কে বানাল? কে বানাল? প্রথমবারের মতো সবার সামনে আসল মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। যিনি শাটিকাপ-এর লেখক ও পরিচালক। আশপাশের বন্ধুদের নিয়ে বানিয়ে ফেলেছে ৭ পর্বের এই সিরিজ।
এরপর থেকেই তার পরবর্তী কাজের জন্য অপেক্ষা করে আছে দর্শক আর সমালোচকেরা। দুই বছর পর রাজশাহীর সেই তাওকীর আবার ফিরছেন নতুন আরেক সিরিজ নিয়ে। নাম ‘সিনপাট’।
চরকি-তে খুব তাড়াতাড়ি আসতে যাচ্ছে রাজশাহীর সেই লোকাল ট্যালেন্টদের নিয়ে নির্মিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘সিনপাট’। গতকাল রাতে চরকির সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোষণা দেওয়া হয় এই সিরিজের।
সিনেমা নিয়ে দিল্লির এশিয়ান স্কুল অব মিডিয়া স্টাডিজ থেকে পড়ালেখা করেছেন রাজশাহীর ছেলে তাওকীর। রাজশাহীতে বসেই সেখানকার লোকাল ট্যালেন্ট নিয়ে নির্মাণ করছেন দুর্দান্ত সব সিরিজ। তাওকীর মানেই ভিন্ন টেস্টের কনটেন্ট। এবার তার সিরিজে থাকবে আগের থেকেও বড় চমক। ভিন্ন রকম গল্প। আরও নতুন নতুন আর্টিস্ট, এই আর্টিস্ট লিস্টেও নাকি আছে নতুন চমক। কিন্তু কী চমক? জানা যাবে কিছুদিন পরে।
সিরিজের নাম কেন ‘সিনপাট’ এমন প্রশ্নের উত্তর পরিচালক তাওকীর ইসলাম নিজেই দেন। তিনি বলেন, ‘সিরিজের নাম আসলে কি হবে এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি আমরা। বহু নাম প্রাথমিকভাবে মাথায় ছিল। হুট করে একদিন সিনপাট নামটা সামনে আসে। এটা মূলত আমাদের প্রোটাগোনিস্ট সোহেল ভাইয়ের কাছ থেকে এসেছে। এই শব্দটা পাবনার নগরবাড়ীর লোকাল একটা শব্দ। যেটা আমাদের কাজকে রিফলেক্ট করে।’
‘সিনপাট’-এও লোকাল সব অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন তাওকীর। কী কী সুবিধা আর অসুবিধা হয়েছে কাজ করতে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন মানুষদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা বাচ্চাকাল থেকেই। নতুন মানুষদের নিয়ে কাজ করলে নতুন টেকনিক শেখা যায়। আবার নতুন অভিজ্ঞতাও হয়। এ ছাড়া আমাদের এবারের মূল কাস্ট যিনি তিনি একদমই নতুন। তাকে শেইপে নিয়ে আসতে কিছুটা সময় লেগেছে।’
‘শাটিকাপ ও সিনপাট দুটো দুই কাজ। তাই দুটোই আলাদা হবে। আর মূল যে জায়গায় আলাদা সেটি দর্শকরাই বলে দেবে।’ বলেন পরিচালক।