বিনোদন ডেস্ক
কয়েক দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন তামিল সুপারস্টার থালাপতি বিজয়। প্রশাসনিক উদাসীনতা, দুর্নীতি আর ধর্মের বিভেদ বিজয়কে মর্মাহত হয়ে স্বার্থহীন, স্বচ্ছ, বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের উদ্দেশে রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কোঝাগম’ এর ঘোষণা দেন তিনি।
বিজয়ের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে বছর চারেক আগে ঘটেছিল বিশাল এক ঘটনা। ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন এই তারকার বাবা এস চন্দ্রশেখর বিজয়ের নামে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন। তখন এই দক্ষিণী তারকা তাঁর মা–বাবাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ উচ্চ আদালতে মামলা করেন। এমনকি তাঁর রাজনীতিতে আসার খবরকেও গুজব বলেছিলেন অভিনেতা।
বিজয় তখন জানিয়েছিলেন, এই দলের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি তাঁর ভক্তদের কাছে আবেদন করেছিলেন, শুধু তাঁর নাম দেখে ভক্তরা এই দলের সঙ্গে যেন যুক্ত না হন।
এদিকে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন বিজয়ের মা ও প্লেব্যাক গায়িকা শোভা চন্দ্রশেখর। পিঙ্কভিলা জানিয়েছে, শোভা চন্দ্রশেখরের আগামীকালের সংবাদ সম্মেলনের কারণ অজানা থাকলেও অনুমান করা যাচ্ছে, পুত্র থালাপতি বিজয়ের রাজনীতি যোগদানের বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। বিজয়ের মা কি পুত্রের রাজনীতিতে প্রবেশকে স্বাগত জানাবেন? নাকি পুত্রের বিপক্ষে অবস্থান নেবেন তা জানা যাবে আগামীকাল।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি ‘তামিলাগা ভেত্রি কোঝাগম’ নামের রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন বিজয়। এখন থেকেই তিনি প্রস্তুতি শুরু করেছেন ২০২৬ সালের তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য।
তবে রাজনীতিতে পুরোটা সময় দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছেন বিজয়। তাই এখন থেকে তিনি শুধুই রাজনীতি নিয়ে থাকতে চান। তাঁর এ সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী হিসেবে দেখছেন ভক্তরা। অনেকে বলছেন, বিজয় যে পথ দেখালেন, তাতে তারকাদের রাজনীতিতে আসার ট্রেন্ডে কিছুটা হলেও পরিবর্তন দেখা যাবে।
শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন বিজয়। ১৯৯২ সালে ‘নালাইয়া থেরপু’ সিনেমায় প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। শুধু দক্ষিণে নয়, ভারতজুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তবে এই ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন তিনি আর মাত্র দুটি সিনেমার পর। অভিনয় থেকে অবসর নিয়ে পুরোটা সময় রাজনীতি নিয়েই থাকবেন।