কঠোর নিরাপত্তা আর প্রার্থীদের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে বিএফডিসিতে চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। একটি ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপূণ প্যানেল, অন্যটি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল।
অন্যদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে টেলিভিশন শিল্পী সংঘের নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই নির্বাচনে ভোট দিতে হাজির হচ্ছেন টিভি পর্দার অভিনয়শিল্পীরা। শান্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভোট।
টেলিভিশন অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনটি প্যানেলভিত্তিক নয়। এখানে প্রতিটি পদের জন্য এককভাবে প্রার্থী হয়েছেন শিল্পীরা। মোট ২১টি পদে লড়াই করছেন ৪৮ জন প্রার্থী। সভাপতি পদে লড়ছেন আহসান হাবীব নাসিম ও শাহাদাৎ হোসেন। সহসভাপতির তিনটি পদের জন্য লড়াই করছেন পাঁচজন—আনিসুর রহমান মিলন, ইকবাল বাবু, তানিয়া আহমেদ, দিলু মজুমদার ও সেলিম মাহবুব।
আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর ও রওনক বিশাকা শ্যামলী। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রাণ রায় ও মুকুল সিরাজ। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ, মাহাদী হাসান পিয়াল ও সুজাত শিমুল।
বিদায়ি কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান সেলিম এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তবে বিদায়ি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবারের সভাপতি পদপ্রার্থী আহসান হাবিব নাসিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোটদানের প্রক্রিয়াটি বরাবরই উৎসবমুখর হয়। এবারও তা-ই হচ্ছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটদানের প্রক্রিয়া। শিল্পীরা যদি রেজাল্ট হওয়া পর্যন্ত পুরো সময়টা থাকতে চান, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে শিল্পকলার মাঠে।’
সহসভাপতি পদপ্রার্থী আনিসুর রহমান মিলন বলেন, ‘আমরা শিল্পীদের স্বার্থে কাজ করতে চাই। সেই প্রত্যাশা নিয়েই এবারের নির্বাচনে লড়ছি। নির্বাচনে যিনি বা যাঁরাই জয়লাভ করি বা করুন, আশা করছি শিল্পীদের প্রত্যাশা পূরণে আমরা কাজ করতে পারব।’