সালাহ্উদ্দিন লাভলু, মনোজ, অর্ষা ও গোলাম সোহরাব দোদুল একসাথে কাজ করেছেন থ্রিলারধর্মী এক টেলিফিল্মে। নাম ‘দ্য মাস্টারমাইন্ড -ধোঁকা’।
টেলিফিল্মে ডিবি অফিসার সালাহ্উদ্দিন লাভলু খোঁজ করছেন মাস্টারমাইন্ড-এর। সন্দেহ পতিতালয়ে থাকা প্রেমিক জুটি মনোজ ও অর্ষা’সহ আরো কয়েকজনের উপর। গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, পতিতালয়ের এক মেয়ে পরীবানু খুন হয়। তার রুমের সব জিনিস উঁধাও। এই মেয়ের ওড়নার গিটে জুয়েলারীর দোকানের দামি গহনা ও হীরার আংটির কাগজ পাওয়া যায়। তার কাছে দামী জুয়েলারী আসলো কিভাবে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয় পুলিশের।
পতিতালয়ে থাকা এক প্রেমিক জুটি ববি (মনোজ) ও শিউলি (অর্ষা) পুলিশকে চাপ দেয় খুনিকে ধরতে। তারা জানায়, পরীবানুর বয়ফ্রেন্ড যে তাকে পরে বিয়ে করে, সে রাজ্জাক। তাদের মধ্যে কিছুদিন আগে ঝগড়া হয়। রাজ্জাক এই খুনের সাথে জড়িত থাকতে পারে। হামিদ (সালাহ্উদ্দিন লাভলু) নামে এক ডিবি পুলিশ অফিসার খুনের তদন্ত শুরু করেন। কিছুদিন পর হামিদ-এর কাছে এক বৃদ্ধ আসেন। কয়েক বছর আগে তার বন্ধু খুন হয়েছিলো। সে ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছিলো, নানা কারণে। অনেক টাকা পয়সার লেন-দেন হয়েছিলো। কেসের মিমাংসা নিয়ে তিনি হামিদ সাহবের সুনাম শুনেছেন। তাই তিনি এই কেস রি-ওপেন করতে, অনুরোধ জানাতে এসেছেন। বিভিন্ন তথ্যও দিয়েছেন। বন্ধুর খুনের পর তাকেও খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন খুনীরা। ভয়ে তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।
ডিবি পুলিশ অফিসার হামিদ খোঁজ পান এক মাস্টার-প্ল্যান ও মাস্টারমাইন্ড-এর। চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য তদন্ত করতে গিয়ে উদঘাটিত হয়, ১ বছর আগের এক অপরাধের গল্প। সেটি জানা যাবে, টেলিফিল্মের শেষে।
টেলিফিল্মটি রচনা করেছেন গুলশান হাবিব রাজীব ও পরিচালনা করেছেন গোলাম সোহরাব দোদুল। বাংলাভিশনে ঈদের ৭ম দিন বেলা ২টা ১০ মিনিটে এই টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে।
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপক সুমন, হিন্দোল রায়, শামান্তা, রূপকথা, সুচনা, পথিক সোহেল, হৃধি প্রমুখ।