হোম > পরিবেশ

চামড়া শিল্পের দূষণ: শিল্প ও বাণিজ্যসচিবকে তলব করবে সংসদীয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাভার চামড়া শিল্প নগরীর দূষণ বন্ধে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় শিল্প ও বাণিজ্যসচিবকে তলব করতে যাচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির আগামী বৈঠকে এ দুই কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে বলেছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। 

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাভারের ট্যানারির দূষণ নিয়ে গত দেড় বছরে শুধু মিটিংই হচ্ছে। তারা বলছে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। তাদের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়।’ 

এ জন্য আগামী বৈঠকে শিল্প ও বাণিজ্যসচিবকে ডাকা হবে বলে জানান তিনি। সাবের হোসেন বলেন, ‘আমরা শিল্পমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানাব। তাঁদের আমরা অনুরোধ করবে, যদি তাঁরা সময় করতে পারেন তবে আসবেন। কিন্তু দুই সচিবকে অবশ্যই থাকতে হবে।’ 

এখন থেকে সাভার ট্যানারি নিয়ে যত সভা হবে তাতে নেতৃত্ব দেবেন পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলে জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ মন্ত্রণালয় অন্যদের ডাকবে। কারণ এটা পরিবেশের বিষয়।’ 

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না হওয়ায় গত বছরের আগস্টে পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সাভারের চামড়া শিল্প নগরী ‘আপাতত বন্ধ রাখার’ সুপারিশ করে। কমিটির সুপারিশের পরে বিসিককে চিঠি দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। চামড়া শিল্পনগরী ‘কেন বন্ধ করা হবে না’, তা বিসিকের কাছে জানতে চায় সংসদীয় কমিটি। তবে ওই বক্তব্য ‘সন্তোষজনক নয়’ বলে জানিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। 

এরপর সংসদীয় কমিটি প্লট ধরে ধরে অভিযান চালিয়ে দূষণে জড়িত ইউনিটগুলো বন্ধের সুপারিশ করে। গত ১৭ জুলাই কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার সুপারিশ আসে। 

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন বলেন, ‘আমরাদের জানানো হয়েছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করেছে। তাদের সাধুবাদ জানাই। কিন্তু যারা করছেন না তাদের বন্ধ করতে হবে। কমপ্লায়েন্স না ঠিক করে ট্যানারি চালাবে—এটা হতে দেওয়া যায় না।’ 

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পরিবেশের গুণমান জানার জন্য বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পরিবেশ দক্ষতা সূচক এবং স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টিং প্রণয়ন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবের হোসেন। পরিবেশ দক্ষতা সূচক প্রণয়ন এর অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে বায়ুদূষণ, পানি দূষণ, শব্দ দূষণসহ ৪ / ৫ কম্পোনেন্ট বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি। 

পরিবেশ দক্ষতা সূচক প্রণয়নের জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সভা করা হবে জানিয়ে সাবের হোসেন বলেন, ‘পরিবেশ দক্ষতা সূচক তৈরির পর প্রথম বছরকে বেজ ইয়ার হিসেবে ধরা হবে।’ 

 ‘স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টিং’ প্রণয়ন সম্পর্কে সাবের হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং এর মূল্য বাড়ল না কোমল, তা জানার জন্য এটি করা হবে।’ 

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের মাধ্যমে কতজনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে তার হালনাগাদ তথ্য আগামী সভায় উপস্থাপন এবং বালুমহাল ইজারায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। 

এ ছাড়া শব্দ দূষণ রোধে হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি ও প্রস্তুত নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে। 

সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন—কমিটির সদস্য পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, তানভীর শাকিল জয়, রেজাউল করিম বাবলু এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন।

পরিবেশ ধ্বংসের মূলেবাজার অর্থনীতি

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, ভয়াবহ দূষণ করাচিতে

কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

জলবায়ু পরিবর্তন: ২০৭০-৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি কমবে ৫০ শতাংশ

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে তাসখন্দ

কামরাঙ্গীরচরে তিন পলিথিন কারখানা সিলগালা, জব্দ ১০০ টন

হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষায় নাগরিক সংলাপ

বায়ুদূষণ রোধে অভিযান: ২৪ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর, মাস্ক পরার পরামর্শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের

দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কতটা দায়ী

সেকশন