নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পৌষের ১৮ দিন পেরিয়ে অবশেষে রাজধানী ঢাকায় জাঁকাল উপস্থিতি জানান দিচ্ছে শীত। এক মাস ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলে ঠান্ডার প্রকোপ থাকলেও ঢাকার আবহাওয়া ছিল উষ্ণ। তবে গতকাল বুধবার এক লাফে তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় রাজধানীবাসী এবার শীতের প্রভাব টের পাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এক সপ্তাহ পর তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা আছে। তাপমাত্রা কমার বিষয়টি চলতি শীত মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত হতে পারে। গতকাল বুধবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল বুধবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সোমবার ছিল ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, বনশ্রী, বাড্ডা, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীত রীতিমতো কাবু করে ফেলেছে মানুষকে। তীব্র ঠান্ডার কাঁপুনিতে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা চরমভাবে ব্যাহত। দিনমজুরেরা কাজের ফাঁকে উষ্ণতার খোঁজে আগুন পোহাতে বাধ্য হচ্ছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা আজকের পত্রিকা বলেন, ‘সূর্যের দেখা না মেলায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আর এর সঙ্গে আছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। তবে আজ (বৃহস্পতিবার), শুক্র ও শনিবার দিনের তাপমাত্রা একটু বাড়তে পারে। কুয়াশা কেটে গেলে হয়তো শীতের অনুভূতি একটু কমবে।’
এদিকে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়ালেও দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর এবং রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, পাবনা, নাটোরসহ প্রায় সব জেলাতেই জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, পাবনা, নাটোরে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রির ঘরে। সারা দিনেও দেখা মিলছে না সূর্যের।