চুয়াডাঙ্গা ও জীবননগর প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁর বদলগাছীতে আজ বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় এই তাপমাত্রা ছিল। এটি এই মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় প্রচণ্ড শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট হচ্ছে বেশি। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই তারা বাইরে বেরিয়ে পড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মুক্তাগাছি গ্রামের ভ্যানচালক নজির আলী বলেন, ‘কদিন ধরে বেশি ঠান্ডা পড়ায় খুবই কষ্টে আছি। ঠান্ডার জন্য ভ্যান চালানোই যাচ্ছে না। তা ছাড়া, প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়া-ভুতো নেই।’
সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের দিনমজুর কালাম আলী বলেন, ‘আজ তো কাজে বের হতে পারিনি। তাই বাইরে বসে রোদ পোহাচ্ছি।’
সরোজগঞ্জ এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। পুরোনো ভাঙারি জিনিস কিনব। খুব কষ্ট করে ঘুরছি। তবু বেচাকেনা নেই।
উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। ওই দিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে ১৭ ডিসেম্বর রোববার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আজকের আগ পর্যন্ত ছিল চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা সকাল ৯টায় ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আজ চুয়াডাঙ্গা ও বদলগাছিতে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সকাল ৯ টায়ও একই তাপমাত্রা ছিল। এর আগের দিন সোমবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা ছিল।