হোম > পরিবেশ

প্রিয় প্যাঁচার মৃত্যুতে নিউইয়র্কে শোকের ছায়া

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের সেন্ট্রাল পার্ক চিড়িয়াখানা থেকে গত বছর পালিয়ে যাওয়া একটি প্যাঁচা ভবনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় প্যাঁচার স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ফ্লাকো নামের পাখিটি একটি ইউরেশিয়ান ইগল প্যাঁচা। ম্যানহাটন কাউন্টিতে এক ভবনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মারা যায় সেটি। গতকাল শুক্রবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সেন্ট্রাল পার্ক চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ম্যানহাটনের ওয়েস্ট ৮৯ স্ট্রিটে একটি ভবনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ফ্লাকো পড়ে গেলে পথচারীরা আহত পাখিটিকে নিউইয়র্ক শহরের একমাত্র বন্যপ্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র ওয়াইল্ড বার্ড ফান্ডের (ডব্লিউবিএফ) কাছে নিয়ে যান। ডব্লিউবিএফ কর্মীরা ফ্লাকোকে নিথর অবস্থায় পান এবং ঘটনাস্থলেই সেটি মারা গেছে বলে জানান। 

সেন্ট্রাল পার্ক চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা বলেন, ডব্লিউবিএফ ফ্লাকোর মৃত্যুর খবর জানানোর পরই তাঁরা মৃতদেহ সংগ্রহ করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানায় নেওয়া হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, সেন্ট্রাল পার্ক চিড়িয়াখানার কর্মীরা এখনো আশা করছেন, নিউইয়র্ক পুলিশ ফ্লাকোর খাঁচা খোলার পেছনে দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করবে। গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি খাঁচা ছেড়ে পালানোর আগে এই প্যাঁচাটি ১৩ বছরের মতো ওই চিড়িয়াখানায় প্রদর্শনের জন্য রাখা ছিল। 

চিড়িয়াখানার বিবৃতি অনুসারে, ফ্লাকোর খাঁচা ভেঙে দেওয়া ব্যক্তি পাখিটির নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছে এবং এ কারণেই শেষ পর্যন্ত পাখিটির মৃত্যু হয়েছে। 

 ২০১০ সালে ফ্লাকোর বয়স যখন এক বছরও হয়নি তখন সেটিকে উদ্ধার করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছিল, উত্তর আমেরিকার জঙ্গলে টিকে থাকা এ প্রজাতির একমাত্র প্যাঁচা ফ্লাকো। বন্দিদশার বাইরে এ পাখিটি বেশি দিন বাঁচবে না বলেও আশঙ্কা করা হতো। 

খাঁচা ছেড়ে পালানোর এক বছরের মধ্যে প্যাঁচাটির ওড়ার ও শিকারের ক্ষমতা আরও বেড়ে গিয়েছিল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নানা টোপ ফেলে ফ্লাকোকে ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। কয়েক সপ্তাহ চেষ্টা করার পর কর্তৃপক্ষ হাল ছেড়ে দেয়। বেশির ভাগ সময়ই ফ্লাকো জঙ্গলে ও সেন্ট্রাল পার্কের আশপাশের এলাকায় কাটিয়েছে। এ সময়টা চিড়িয়াখানার কর্মীরা প্যাঁচাটির ওপর নজর রেখেছেন এবং প্যাঁচাটিতে কোনো ধরনের অস্বস্তির লক্ষণ দেখলেই উদ্ধার করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। 

ফ্লাকোর মতো প্যাঁচারা একা থাকতেই পছন্দ করে এবং শুধু প্রজনন মৌসুমেই এরা অন্য প্রাণীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাই সেন্ট্রাল পার্ক ছেড়ে দূরে গেলে সে কোনো সঙ্গীর সন্ধানে গেছে বলেই ধারণা করা হতো। 

সেন্ট্রাল পার্ক চিড়িয়াখানা গতকাল শুক্রবার বলে, গত এক বছর ধরে ফ্লাকোর জন্য যে উদ্বেগ দেখানো হয়েছে তার এবং যারা ফ্লাকোর বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা বিশেষত ফ্লাকোকে সাহায্য করতে ওয়াইল্ড বার্ড ফান্ডের কর্মীদের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার প্রশংসা করি। 

প্যাঁচার মৃত্যুর খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এক হাজারেরও বেশি এক্স ব্যবহারকারী ফ্লাকোর মৃত্যুর পোস্টটি শেয়ার করেছেন। 

এক ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘এ এক অপূরণীয় ক্ষতি!’ 

আরেক এক্স ব্যবহারকারী যে ভবনটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ফ্লাকোর মৃত্যু হয়েছে সেটি ভেঙে ফেলার দাবি করেছেন। 

ইউরেশিয়ান ইগল প্যাঁচা সবচেয়ে বড় প্রজাতির প্যাঁচাগুলোর মধ্যে একটি। ফ্লাকোর ডানার দৈর্ঘ্য ৬ ফুট ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিবেশ ধ্বংসের মূলেবাজার অর্থনীতি

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, ভয়াবহ দূষণ করাচিতে

কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

জলবায়ু পরিবর্তন: ২০৭০-৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি কমবে ৫০ শতাংশ

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে তাসখন্দ

কামরাঙ্গীরচরে তিন পলিথিন কারখানা সিলগালা, জব্দ ১০০ টন

হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষায় নাগরিক সংলাপ

বায়ুদূষণ রোধে অভিযান: ২৪ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর, মাস্ক পরার পরামর্শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের

দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কতটা দায়ী

সেকশন