উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিপন্ন প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার পশ্চিম কালুডাঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের শফিকুর ইসলাম রাজুর বাড়িসংলগ্ন মাঠ থেকে শকুনটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে শকুনটিকে হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম রাজুর বাড়িসংলগ্ন মাঠে রোববার বিকেলে একটি শকুন উড়ে আসে। পরে স্থানীয় নুর আলম (৩৫), মিনাল চন্দ্র বর্মণ (৪০), আব্দুল কাদের (৫০), সোলায়মান হক (২২), নুর জামালসহ (৩৭) কয়েকজন মিলে শকুনটিকে ধরে শফিকুল ইসলাম রাজুর বাড়ির উঠানে পায়ে দড়ি বেঁধে আটকে রাখে।
তাঁরা জানান, শকুনটির উচ্চতা দুই ফুটের বেশি, দৈর্ঘ্য (পাখা মেলে) ৯ ফুট, ওজন প্রায় সাড়ে ৬ কেজি। তাঁদের ধারণা শকুনটি কিছুটা অসুস্থ। তবে দুইটি মুরগির বাচ্চা খেতে দেওয়া হলে শকুনটি তা খেয়ে নেয়। তাঁদের ধারণা শকুনটি প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আসতে পারে। পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শকুনটিকে উদ্ধার করেন।
ওই এলাকার নুরুল ইসলাম (৬৮) ও সফিকুল ইসলাম (৬৫) জানান, প্রায় ২৫-৩০ বছর থেকে এলাকায় শকুন দেখা যায় না। আগে অনেক শকুন দেখা যেত। তখন গরু মারা গেলে খোলা মাঠে বা বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখা হতো। তখন শকুনেরা দল বেঁধে মৃত গরু খেতে আসত। কিন্তু গত ২৫-৩০ বছর থেকে শকুনের দেখা আর মেলে না।
উলিপুর উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাণীটি কিছুটা অসুস্থ। তাকে সুস্থ করার পর অবমুক্ত করা হবে। যাতে তার আপন ঠিকানায় যেতে পারে।