ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘গাছপালা উজাড় করে যেভাবে বিল্ডিং বানানো হয়েছে, আমরা যদি এখনই পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে না পারি পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এর জন্য আমাদের দায়ী করবে।’
আজ বৃহস্পতিবার গুলশান-২ ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয়ে বৃক্ষরোপণ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি এলাকায় পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণ করতে তিনটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করে সিটি করপোরেশন। সংস্থা তিনটি হলো—লংকাবাংলা, গ্রিন সেভারস ও কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন। শেভরন বাংলাদেশের অর্থায়নে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বিদ্যামান গাছ রেখে নতুন করে জায়গা খুঁজে বের করে বৃক্ষরোপনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি সংস্থাগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
শুধু নিজেদের লাভের চিন্তা করে এতদিন বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে মন্তব্য করে মেয়র আতিক বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে আমরা নিজেদের প্রয়োজনে কেবল বনভূমি ধ্বংসই করেছি। শুধু নিজের লাভের চিন্তা করেছি। কিন্তু একবারও ভাবিনি পরবর্তী প্রজন্ম কিসের মধ্যে বড় হবে। আজকে তাই সময় এসেছে নতুন করে ভাবার।’
ডিএনসিসির তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন—ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, অ্যাশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের চিফ হিটি অফিসার বুশরা আফরিন, লংকাবাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ার, গ্রিন সেভারসের প্রতিষ্ঠাতা আহসান রনি, কমিউনিটি টাউন ফেডারেশনের সভাপতি নাসরিন আক্তার।