সুন্দরবনে যেসব অংশে আগে বাঘের অস্তিত্ব ছিল না, করোনাকালে সেসব অংশে এখন বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে। সুন্দরবনের কোথায় কোথাও মিলছে বাচ্চা বাঘের পায়ের ছাপও। এ ধরনের কিছু লক্ষণ বলছে, বনে বাঘের সংখ্যা আরও বেড়েছে। বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বন অধিদপ্তর আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বাঘবিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। ২০২১-২২ সালের বাঘ জরিপ করলে এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে বলে মনে করেন তাঁরা।
সুন্দরবনের বনাঞ্চলে সরকারিভাবে বাঘ সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে বন অধিদপ্তর। ২০১৫ সালে ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ পদ্ধতিতে পরিচালিত জরিপে বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে ১০৬টি বাঘ রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। পরে ২০১৮ সালের জরিপে দেখা যায়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়ে ১১৪-এ উন্নীত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, বাঘ ও সুন্দরবনের বন্য প্রাণীদের সুরক্ষায় সরকার সুন্দরবনের ৫২ শতাংশ বনকে অভয়াশ্রম ও সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা করেছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চল সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে পারলে সুন্দরবনে বাঘের খাবার, সাবলীল বিচরণ ও প্রজনন ক্ষমতা বাড়বে।
ওয়েবিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ।
ড. আবু নাসের বলেন, ২০২১ সালে কিছু লক্ষণ দেখে আমরা অনুমান করছি বাঘের সংখ্যা আরও বেড়েছে। যেসব এলাকায় আগে পায়ের চাপ পাওয়া যেত না সেসব এলাকায়ও পায়ের চাপ পাওয়া গেছে।