হোম > পরিবেশ

দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা, ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস

অনলাইন ডেস্ক

আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ১১
ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬ শহরের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ঢাকার দূষণের মান ২৭৫।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর শহর, সেখানে দূষণের মাত্রা ২৩৬। তৃতীয় অবস্থানে সরে গেছে পাকিস্তানের লাহোর, এই শহরের দূষণমাত্রা ২৩২।

একই সময়ে দূষণমাত্রা ২০৪ নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। দূষণের মাত্রা ২০১ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের আরেক শহর করাচি।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতি মুহূর্তের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত হচ্ছে, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দিয়ে আসছে। আর তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।

একিউআই মাত্রা শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা ভয়াবহ বলে বিবেচিত হয়।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদ্‌রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গেছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

গাজীপুরে ৪ একর বনভূমি উদ্ধার, টাঙ্গাইলে ৭ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ

ঢাকার বাতাসে আজ খানিকটা উন্নতি, দূষণ শীর্ষে দিল্লি

অবৈধ ১৮ ইটভাটাকে ৪৬ লাখ টাকা জরিমানা

বঙ্গোপসাগরে সংরক্ষিত এলাকা বাড়িয়ে ৬ গুণ করার প্রস্তাব