হোম > পরিবেশ

বায়ুমানে উন্নতি নেই, দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ দুইয়ে ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ১২
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ১২
ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা এখনো ক্ষতিকর পর্যায়েই রয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার দূষিত শহরের বৈশ্বিক সূচকে ২১৪ বায়ুমান নিয়ে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে ঢাকা। গতকাল সোমবার ঢাকা ছিল প্রথম স্থানে। তালিকায় অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও বায়ুমানে কোনো পরিবর্তন আসেনি বললেই চলে। ঢাকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর। ২৬৩ বায়ুমান নিয়ে দূষণের তালিকায় শীর্ষে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়।

দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচ শহরের ভিয়েতনামেরই আরেক শহর হো চি মিন সিটি, ভারতের দিল্লি ও নর্থ মেসিডোনিয়ার স্কোপজে। আজ সকাল ৯টার হিসাবে শহরগুলোর বাতাসের এই অবস্থা ছিল। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে—ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছরের নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

ঢাকার বাতাসে আজ খানিকটা উন্নতি, দূষণ শীর্ষে দিল্লি

অবৈধ ১৮ ইটভাটাকে ৪৬ লাখ টাকা জরিমানা

বঙ্গোপসাগরে সংরক্ষিত এলাকা বাড়িয়ে ৬ গুণ করার প্রস্তাব

আগামী দুই দিন শীত বাড়বে, শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া দপ্তর