অনলাইন ডেস্ক
জলবায়ু ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে গতকাল বুধবার বিশ্বের পরাশক্তি এই দুটি দেশের কাছ থেকে অনেকটা আকস্মিকভাবে এই ঘোষণা এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস। এই গ্যাস নিঃসরণে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এই তালিকায় পরের অবস্থানেই রয়েছে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ), আর পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া।
যৌথ ঘোষণায় উভয় দেশ জানিয়েছে, আগামী দশকের জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। এর মাধ্যমে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে রাখার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকেও এগিয়ে যাবে ওয়াশিংটন ও বেইজিং।
এছাড়া যৌথ ঘোষণায়, মিথেন নির্গমন, সবুজ শক্তিতে রূপান্তর এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে একমত থাকার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
এ ছাড়া জলবায়ু ইস্যুতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ও বাস্তব অগ্রগতির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেটি পূরণে প্রচেষ্টা জোরদার করা হবে বলেও ঘোষণায় জানিয়েছে উভয় দেশ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে পারবে বিশ্ব। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রাকে প্রাক-শিল্পযুগের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ভার্চুয়াল বৈঠক করবে। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে এই দু দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
গতকাল বুধবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান সম্মেলনের সম্ভাব্য চুক্তির খসড়া প্রকাশ করে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সংস্থা। গ্লাসগোতে চলমান কপ-২৬ সম্মেলনের শেষে এই চুক্তি ইস্যু করা হবে।