নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় আলু ফসলে লেইট ব্লাইট বা মড়ক রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আওতাধীন কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র। সংস্থাটি বলছে, মড়ক রোগের সংক্রমণ হলে আলুর উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোছা. মাহবুবা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া, ঝিরঝির বা শৈত্যপ্রবাহ মড়ক রোগ সংক্রমণের পরিবেশ তৈরি করে। একবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে, ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
দেশের উত্তরাঞ্চলে মড়ক রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
আলুর মড়ক রোগ নিয়ন্ত্রণে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছে কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র। সংস্থাটির পরামর্শ অনুসারে, মড়ক রোগের অনুকূল আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধের জন্য ৭ দিন পর পর ম্যানকোজেব গ্রুপের অনুমোদিত ছত্রাকনাশক যেমন-ডাইথেন এম-৪৫ বা ইন্ডোফিল এম-৪৫ বা পেনকোজেব ৮০ ডব্লিউপি প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করে গাছ ভালোভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় আক্রান্তের ২-৩ দিনের মধ্যেই এ রোগ মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।
রোগ হওয়ার পর করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, নিজের বা পার্শ্ববর্তী কৃষকের জমিতে এ রোগ দেখা মাত্রই ৪ / ৫ দিন পর পর উল্লেখিত গ্রুপের যেকোনো অনুমোদিত ছত্রাকনাশক বা মিশ্রণ পর্যায়ক্রমে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করে গাছ ভালোভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া আক্রান্ত জমিতে রোগ নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত সেচ দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী তিন দিনের (৭২ ঘণ্টা) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ৭২ ঘণ্টার শেষ দিকে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।