অনলাইন ডেস্ক
জাপান সাগরে পারমাণবিক বর্জ্য পানি ফেললে তা মানবস্বাস্থ্যের পাশাপাশি বৈশ্বিক সামুদ্রিক পরিবেশ ও আন্তর্জাতিক মহলের স্বার্থের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। আজ শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এ আশঙ্কার কথা বলেন।
মাও নিং বলেন, গত বছর ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাগরে বর্জ্য পানি ছাড়ার পর বেইজিং এবং অন্যান্য দেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘সম্পূর্ণ বৈধ, যুক্তিসংগত এবং প্রয়োজনীয়’ পদক্ষেপ নিয়েছে।
জাপান গত আগস্টে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পানি ছাড়া শুরু করে। চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও সোলোমন দ্বীপপুঞ্জের কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদলুর প্রতিবেদন অনুসারে, তেজস্ক্রিয় দূষণের আশঙ্কায় টোকিও পানি ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরুর পরে ছয় মাসের জন্য জাপান থেকে সব ধরনের সামুদ্রিক খাবার আমদানি স্থগিত করে বেইজিং।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে আগামী ৩০ বছরে ১০ লাখ টনেরও বেশি পরিশোধিত বর্জ্যপানি অবমুক্ত করা হবে।
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক দুর্ঘটনা ও ২০১১ সালে ভূমিকম্প ও সুনামির মুখে পড়ার পর জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হয়।