হোম > পরিবেশ

বাতাসে আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ, শিগগিরই কমছে না ভ্যাপসা গরম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এখন কোথাও তেমন তাপপ্রবাহ নেই। তবুও গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। আজ শনিবার সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯০ শতাংশ। শিগগিরই এই ভ্যাপসা গরম কমার তেমন সুখবরও নেই। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বর্ষা আসার আগমুহূর্তে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর কারণে গরমের অস্বস্তিও বাড়ে। 

এপ্রিলের টানা তাপপ্রবাহের পর মে মাসের শুরুতে বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি দিলেও মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলে মে মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত। এরপর ২৬ তারিখে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে গরমের অস্বস্তি কাটলেও গত বুধবার থেকে আবার গরমের অস্বস্তি ফিরে আসে। 

আজ শনিবার দুপুরে হাতিরঝিল ও মহানগর সংযোগ সড়কে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালক শেখ খলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইক চালিয়েও শান্তি নেই। গরম বাতাস আর ঘামে অস্বস্তি লাগে। অ্যাপ বন্ধ রেখেছি। একটু জিরিয়ে নিচ্ছি। গত কয়েক দিন আকাশ মেঘলা, তবে গরমে অস্বস্তি বেশি।’ 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এখন ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় মৃদু তাপপ্রবাহ রয়েছে। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা দেশেই গতকালের তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই রয়েছে। মৃদু তাপপ্রবাহ হতে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হতে হবে। ৩৬ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা থাকলেও গরমে অস্বস্তি সেই এপ্রিলের মতোই অনুভূত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অনুভূত তাপমাত্রা দেখাচ্ছে ৩৮ বা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। 

এদিকে আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস মধ্যে রয়েছে। আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯০ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় এটি ৬১ শতাংশ রেকর্ড করা হয়। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গরমের এই অনুভূতি থাকবে কিছুদিন। অন্তত বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বজায় থাকবে এই পরিস্থিতি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, রিমালে টানা দুই দিন বৃষ্টির কারণে বাতাসে ও মাটিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। আর এতে করে শরীরের ঘাম শুকাচ্ছে না, অস্বস্তি লাগছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্ষা আসার আগ মুহূর্তে (প্রি মনসুন) থেকে বর্ষার সময়ে প্রবেশ এর আগের এই সময়টাতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর কারণে গরমের অস্বস্তিও বাড়ে। বাতাসে এখন প্রায় ৯০ শতাংশ জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি রয়েছে।’ 

জলীয় বাষ্পই হচ্ছে আর্দ্রতা। এই আর্দ্রতার কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ ঘামের সাহায্যে বের হয়ে যেতে পারে না। তাই গরমের মাত্রা বেড়ে যায় আরও বেশি। 

এদিকে আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে মৌসুমি বায়ু ঢাকা, বরিশাল, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। রোববারের মধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আছে।

পরিবেশ ধ্বংসের মূলেবাজার অর্থনীতি

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, ভয়াবহ দূষণ করাচিতে

কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

জলবায়ু পরিবর্তন: ২০৭০-৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি কমবে ৫০ শতাংশ

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে তাসখন্দ

কামরাঙ্গীরচরে তিন পলিথিন কারখানা সিলগালা, জব্দ ১০০ টন

হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষায় নাগরিক সংলাপ

বায়ুদূষণ রোধে অভিযান: ২৪ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর, মাস্ক পরার পরামর্শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের

দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কতটা দায়ী

সেকশন