অনলাইন ডেস্ক
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণে বিশ্বের বাকি শহরগুলোতে টেক্কা দিয়েছে ঢাকা। আজ বাংলাদেশের রাজধানী শহরটির বায়ুমান ২৪১। গতকালের অবস্থান থাকলেও দূষণের মাত্রা একটু কমেছে। গতকাল ঢাকার বায়ুমান ছিল ২৭৯। বায়ুদূষণের দিক থেকে কিছুদিন আগেও প্রথম দুটি স্থান নিজেদের করে নেওয়া পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের দিল্লির অবস্থান যথাক্রমে দুই এবং চারে। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং ভারতের কলকাতা।
আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার হিসাবে শহরগুলোর বাতাসের এ অবস্থা ছিল। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
সে হিসেবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস গতকালের মতো আজও খুব অস্বাস্থ্যকর ।
দূষণে দুইয়ে থাকা লাহোরের বায়ুমান ২১৯। তৃতীয় অবস্থানে থাকা হ্যানয়ের বায়ুমান ১৯৪। দূষণে চারে থাকা দিল্লির বায়ুমান ১৮২। অর্থাৎ লাহোর এবং দিল্লি দুটি শহরই সাম্প্রতিক সময়ে দূষণ কিছুটা হলেও কমাতে পেরেছে। এদিকে দূষণে পাঁচে থাকা ভারতের অপর শহর কলকাতার বায়ুমান ১৮০।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।