হোম > পরিবেশ

ঈদের ছুটিতে ঢাকা ফাঁকা, তবু বিশ্বে বায়ুদূষণে অবস্থান শীর্ষ পাঁচে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন লাখো মানুষ। শহর এখন ফাঁকা। এর পরও আজ রোববার বেলা ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান শীর্ষ ৫ নম্বরে। যেখানে গতকাল শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের রেকর্ড অনুসারে অবস্থান ছিল শীর্ষ ৪–এ। সে হিসাবে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) তালিকায় গতকাল শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৫৮, যা অস্বাস্থ্যকর বায়ুর নির্দেশক। তবে আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুসারে ঢাকার বায়ুমান ১৫৪। এটিও অস্বাস্থ্যকর বায়ুরই নির্দেশক। তবে গতকালের তুলনায় ঢাকার বাতাস আজ কিছুটা উন্নত হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণের দিক থেকে শীর্ষ চার–এ থাকা অন্য শহরগুলো হলো যথাক্রমে—নেপালের কাঠমান্ডু (২০০), থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই (১৮৯), কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৬০) ও পাকিস্তানের করাচি (১৫৭)।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ভারতে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে: আবহাওয়া দপ্তর

ঢাকার বায়ুমানের উন্নতি, বিপর্যয়কর পর্যায়ে মানামা

এআই চিপের কারণে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ বেড়ে ৪ গুণ

ভয়াবহ বায়ুদূষণ চীনের চার শহরে, বেড়েছে ঢাকায়ও

দেশের বিভিন্ন বিভাগে ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রতি দশকে একবার ‘শতাব্দীসেরা’ জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাবে বাংলাদেশের উপকূল: এমআইটির গবেষণা

ঢাকার বায়ুমানে ব্যাপক উন্নতি, দূষণের মাত্রা সহনীয়

নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবিতে তরুণদের মানববন্ধন

বৃষ্টির পরও ঢাকার বায়ুমানে উল্লেখযোগ্য অবনতি, শীর্ষে বাগদাদ

মুন্সিগঞ্জে জাতীয় পাখি পর্যবেক্ষক সম্মেলন